

পুজো বার্ষিকী
১৪২৮

প্রচ্ছদ - সুরজিৎ সিনহা
প্রচ্ছদ - সুরজিৎ সিনহা
প্রচ্ছদ - সুরজিৎ সিনহা
প্রচ্ছদ - সুরজিৎ সিনহা
প্রচ্ছদ - সুরজিৎ সিনহা
কবিতা
কবিতা
কবিতা
গ্যালোপিং সাহিত্য - জিষ্ণু সেনগুপ্ত
কবিতা
শিল্পী - মেঘমল্লার (ডালাস, টেক্সাস)
লেখক/লেখিকাবৃন্দ
গল্প
প্রচ্ছদ - সুরজিৎ সিনহা
প্রচ্ছদ - সুরজিৎ সিনহা
প্রচ্ছদ - সুরজিৎ সিনহা
কবিতা
সুদীপ্ত বিশ্বাস
ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং কালেক্টর
রানাঘাট, নদীয়া, পঃ বাংলা

কবিতা
সুদীপ্ত বিশ্বাস
ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং কালেক্টর
রানাঘাট, নদীয়া, পঃ বাংলা

আশার বাষ্প
মহামারী এসে জীবন কাড়ছে তবু
আমরা চেয়েছি গেয়ে যেতে সেই গান
শবের উপরে জমছে শবের স্তুপ,
কবরের পাশে বেঁচে ওঠে কিছু প্রাণ।
রাত্রির বুকে বাড়ছে আঁধার রোজই
ফুল তবু ফোটে শবদেহটার পাশে
চাঁদ নেই তবু দূরের আকাশে দেখ,
কিছু ছোট তারা আলো দেয়, ভালোবাসে।
মৃত্যু আসছে কাড়ছে মায়ের কোল
কত ভাবনারা আর তো পেল না ভাষা
বেশ কিছু ফুল অকালেই ঝরে গেল,
মৃত্যুর পরও থেকে যায় প্রত্যাশা।
দূরের তারার ক্ষীণকায় স্মিত আলো
সংকেতে বলে সংগ্রাম আছে বাকি
তারা খসে গেলে মৃত্যুর গান গেয়ে,
তখনও দেখবে ডাকছে ভোরের পাখি।
ইঞ্জেকশন!
লোকে আমায় ভয়ই পেত, বাসত না কেউ ভালো
মনে মনে সবাই আমায় দিত অনেক গালও।
তারপরে যেই কোভিড এল, তাক ধিনা ধিন ধিন
অনেক দিনের পরে এল শোধ তোলবার দিন।
আমার জন্য এখন লোকের হয় না রাতে ঘুম
লাইন দিয়ে চলছে সবার সুচ-ফোটানোর ধুম!
আমায় নিয়ে কাড়াকাড়ি, চলছে যে রাজনীতি
সুচ দেখে আর আমজনতার একটুও নেই ভীতি!
ফার্স্ট ডোজের পরে আবার মিলবে কবে ডোজ?
নিয়ম করে সবাই এসে যাচ্ছে নিয়ে খোঁজ।
দুটি ডোজের মধ্যে আবার গ্যাপ যদি যায় বেড়ে
হাঁ-হাঁ করে অমনি সবাই মারতে আসে তেড়ে।
কাঁদছে সবাই ঠোঁট ফুলিয়ে যাদের আছে বাকি
এত্ত ভালোবাসা আমি কোথায় বলো রাখি?

প্রচ্ছদ - সুরজিৎ সিনহা
কবিতা
আবু আফজাল সালেহ
কবি, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট
চুয়াডাঙ্গা, বাংলাদেশ
বৃষ্টিমাথায় ছবি আঁকি
বৃষ্টি বাদল ভোরবেলাতে
দ্যাখো দ্যাখো খোলো আঁখি
কদম গাছে বৃষ্টিমাখা
হাজার রকম রঙিন পাখি।
কালো পাখি হলুদ পাখি
কত্তরকম ডাকাডাকি
পীত হলুদে লাল খয়েরি
শাখা পাখির ছবি আঁকি।
পাঁকা গমখেতের সৌন্দর্য
নীলিমায় সাদা মেঘের মিনার
আকাশ পারে পারাবত ওড়ে
সোনাবালুতীরে ঝাউবন-- সবুজ ঢেউ
নীল নোনাজলের গর্জন,পাড় ভাঙে
অতল-রহস্যে সুউচ্চ নারিকেল বীথির উচ্ছ্বাস।
এমন সেন্টমার্টিনে এক কবিতা দাঁড়িয়ে
তার ছেড়ে দেওয়া আঁচল--
পাঁকা গমখেতের দুলে ওঠা ঢেউয়ের সৌন্দর্য ওড়ে।
বিজয়ী চুম্বন
যদিও চারিদিকে ঘন কুয়াশার রহস্য
হিংসা-বিদ্বেষ,বায়বীয় অহংকার
জলপাথরে লুকায়িত বেদনার ছাপ।
এমন হিংস্রতার ছায়ায় তোমার
হরিণ পায়ের নূপুরধ্বনি--
যেন কার্তিকের সোনালি ধানক্ষেতের ঢেউ।
যতই জোৎস্নালোক ছায়াবৃত হোক
টিয়া ঠোঁটের উচ্চারণ বুজি, খুঁজি
তোমার কপালে এঁকে দেবো বিজয়ী চুম্বন।
শিশির ভেজা গোলাপ
ঝরনাতলে শরীর ভিজিয়ে নিলে
যেন শিশির ভেজা গোলাপ।
কতদিন সূর্যের সঙ্গে তোমার আড়ি!
শীতনিদ্রা ছাড়তে
সূর্যপাপড়িতে ওম নাও এবার।
তুমি ও গোলাপ
গোলাপ ও তুমি
শিশির ভেজা গোলাপ তুমি।

ভালোবাসতে মঙ্গলে যেতে হয় না
ভালোবাসতে হলে মঙ্গলগ্রহে যাওয়া লাগে না
ঝুপড়িতেই হয়
আটচালায় হয়--
অট্টালিকাতেও ভালোবাসা থাকতে চায়।
মনের ওপর ভালোবাসার পরিণতি;
তবে শিখতে হয়।
ওড়া ও ভালোবাসা শিখতে হয়
'ওড়া' আর 'উড়তে পারা' এক নয়
'ভালোবাসা' আর 'ভালোবাসতে পারা' এক নয়।
পাখির ওড়া শিখতে হয়;
ভালোবাসাও শিখতে হয়--
অন্যথা বিপথগামী হতে হয়।
কবিতা
পলাশ দাশ
প্রচ্ছদ - সুরজিৎ সিনহা
বিজ্ঞাপন
মাটির ফাটলের পাশে
একটা সম্ভ্রান্ত বিজ্ঞাপন রেখেছি
থমকে থাকা রোদের আকাশ
আর হাওয়ার গায়ে
একটা সম্ভ্রান্ত বিজ্ঞাপন রেখেছি
জলের স্রোতহীন শরীরের পাড়ে
একটা সম্ভ্রান্ত বিজ্ঞাপন রেখেছি
পাথরের অহংকারের গায়ে
একটা সম্ভ্রান্ত বিজ্ঞাপন রেখেছি
একটা সচিত্র সম্ভ্রান্ত বিজ্ঞাপন
শিকড়, কাণ্ড ও পাতা

কবিতা
পার্থ সরকার
প্রচ্ছদ - সুরজিৎ সিনহা

অজাতশত্রু বিস্ফোরণ শোধনাগারে
অজাতশত্রু বিস্ফোরণ শোধনাগারে
বর্ষা ত্রুটিযুক্ত
তুচ্ছ হয়
তড়িৎগতির জাগরণে
জানবাজারের জীবিকা
সরে যায়
বিচ্ছেদ
অক্ষর পরিচয়হীন
যোগচিহ্ন
নবকেতনের
বিস্ফোরণ
শোধনাগারে
ছত্রাকার
ঘটিবাটির
জলপানি
চিহ্ন নেই দেশদ্রোহিতার ।
প্রবন্ধ
প্রচ্ছদ - সুরজিৎ সিনহা