

জুন ২০২২

লেখক ও লেখিকাবৃন্দ
প্রচ্ছদ - সুরজিৎ সিনহা
কবিতা
পার্থ সরকার

ব্যস্ততার মধ্যরাত
ব্যস্ততার মধ্যরাত
গভীর নক্ষত্রস্বেদ শ্রমে
স্ফুট শব্দে মহাকাব্য পড়ে পেচক
যাযাবর ইচ্ছা উত্তরণের দোরগোড়ায়
সমাপতনে ভোর আসবে বলে
বুলবুলির ল্যাজ মধ্যরাতে
জবরদখল থাকবে না শশব্যস্ত রহস্যে
এই আশা সুনিশ্চিত।
ধূমপান নিষেধ মধ্যরাতে
পবিত্র জলোচ্ছ্বাস সারারাত
(লিখিত মদ্যপান নয়)
পবিত্র ধূম উদ্গীরণ সারারাত
(লিখিত দূষণ নয়)
বেছে নেয় সংবাদ নক্ষত্র পবিত্র উচ্চারণে
পুনশ্চ উদ্ভাসিত হবে বলে
যজ্ঞ মহাজাগতিক সারারাত
সারারাত কোন রোগ নয় মনুষ্যবাহিত
সারারাত ধূমপান নিষেধ
ধূমপান নিষেধ মধ্যরাতে।
অপ্রধান স্বাক্ষর, পাথরে সূচীকর্ম
মাঝামাঝি ফুলের মরশুম
ধুমধাম লৌকিক পর্ব
অলৌকিক সান্ত্বনায় পীতনদীতে দুর্বলতা
ঢেউ উঠছে সড়কে
সড়কে অবলুপ্ত ডাকপিয়ন
তবু কেউ কড়া নাড়ছে
অসুখী স্থবিরতা?
হয়তো হরিণ
হয়তো
সখেদে মুখ ফেরানো সুখী
হয়তো
অপ্রধান স্বাক্ষর
পাথরে সূচীকর্ম
ছিটকে পড়ে পাথরকুচির সম্মেলন
ফিরে আসে নামঞ্জুর ধোয়া তুলসীপাতা
জলসেচে হাত পুড়িয়ে বাড়ি ফিরে খোলা হাওয়া
কিংবা
‘আলাপ আলোচনায় বধিরতা বাড়ে’ শহুরে প্রবাদ।
কবিতা
শান্তাপ্রসাদ রায়
কলকাতা
শেষ ঘুমের আগে
আমার একটা রোবট চাই
সকাল বেলায় ঘুম ভাঙাবে,
অ্যালার্ম ক্লকে হবে না...
পায়ের শব্দ চাই রান্না ঘর, বিছানায়,
চুলে হাতের আঙ্গুল, অভ্যাস কথা বলার
সে হোক না একপেশে
আমার চাই
আমার একটা কথা বলা রোবট চাই
যে আমায় ঘুম পাড়াবে
শেষ ঘুমের আগে।
ধারাপাত
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি
কাল যত ঘুড়ি ছিল আকাশে উধাও,
ব্যান্ডউইথ খাচ্ছে কচি কাঁচা
স্কুল ড্রেস এ সার্কাস আর বাবা মা পরীক্ষা দিয়ে ক্লান্ত
সন্ধ্যে বেলায় ছাদে উঠে স্পষ্ট গোঙানি শুনি
গলা টিপে ধরেছে ওদের,
এখন আর সুর শোনা যায় না
এখন আর কেউ নামতা পড়ে না।
