

পুজো বার্ষিকী
১৪২৭

কবিতা
শিল্পী - মেঘমল্লার (ডালাস, টেক্সাস)
লেখক/লেখিকাবৃন্দ
শিল্পী - মেঘমল্লার (ডালাস, টেক্সাস)
লেখক/লেখিকাবৃন্দ
কবিতা
কবিতা
গল্প
সমীরণের
পুজো
কস্তুরী সিনহা
কলকাতা

অষ্টমীর পুজোর খিচুড়ি লাবড়া পায়েস ভোগ খেয়ে সমীরণবাবু বিকট এক ঢেঁকুর তুলে গিয়ে বসলেন পুজো মণ্ডপের সামনে। পাশেই বসে আছেন ঘোষাল, পরিতোষ ঘোষাল।
- বুঝলেন ঘোষাল বাবু এই সব ছিঁচকে ক্যাটারিং এর ছেলে দিয়ে মায়ের ভোগ রান্না হয় না।
- কি বলছেন সমীরণবাবু, ছিঁচকে ক্যাটারিং কোথায়? মিহিদানা তো এলাকার বেশ নাম করা ক্যাটারিং। ওরা তো এই সব পুজো আচ্চার ছোট কাজ বিশেষ করে না, তবে শুভেন্দুর সাথে চেনা পরিচয় থাকায় রাজি হয়েছে।
- ও আচ্ছা, না মানে শুধু ক্যাটারিঙে কি হয়? মায়ের ভোগের জন্য দরকার সেই ভক্তি, সেই দরদ আর সেই কোয়ালিটির চাল।
- তাই নাকি? সে কি রকম?
- তবেই শুনুন, ভোগ হয় আমার বর্ধমানের মামদাদুর বাড়ির পুজোতে। আসল বাদশা ভোগ চালের খিচুড়ি, বিশুদ্ধ কামিনী ভোগ চালের পায়েস, উফফ কি তার স্বাদ, আর গন্ধ! আশেপাশের দশটা গ্রাম থেকে পাওয়া যেত সেই রান্নার গন্ধ।
- ও বাবা, তা সে সব জিনিস আগে পাওয়া যেত, এখন আর সেই সব বিশুদ্ধ জিনিস কোথায়?
- আরে না রে বাবা, এই তো গেল পূর্ণিমায় আমার মিসেস করলো রান্না গোপালের ভোগ দিতে। আগের বারে মামাতো ভাই বিপিন এসে দিয়ে গেছিলো দাদা-বৌদি ভালোবাসে বলে।
পাশের ১ নম্বর ব্লকের চ্যাংড়া ছেলে পীযুষ অনেকক্ষণ পাশে বসে শুনছিলো। ফুট কেটে বসলো-
- কই সেদিন তো কোনো গন্ধ পেলাম না আমরা। হিসাব অনুযায়ী তো ওপাশে বারুইপুর অব্দি গন্ধ যাওয়ার কথা। আর আমি থাকি আপনার পাশের ব্লকে।
সমীরণবাবুর মুখখানা শুকিয়ে আমশি হয়ে গেলেও জোর করে হাসি টেনে বললেন, তোমার আর গন্ধ পাওয়ার সময় কোথায় বলো? সারাদিন তো কেমিস্ট্রি ল্যাব আর গাদা কাগজের মধ্যে নাক ডুবিয়ে বসে আছো।
- "সে যাকগে সমীরণবাবু, শুনলাম আপনার নাকি দুশো টাকা চাঁদা বাকি আছে" জিজ্ঞেস করলো চ্যাংড়া পীযুষ।
- ওটা আমি ইচ্ছে করেই বাকি রেখেছি, তারপরে গলাটা একটু নামিয়ে বললেন- "শালারা সব সময়ই টাকা মারে পুজোর বাজেট থেকে, তাই যতটা পারি হাত টেনে নিই। আর এই যে কুপন কেটে খাওয়া - (এএএএইউউউ! বলতে বলতেই আব