
কাকলী ঘোষ
কবিতা
ঝুড়ি
অনুরিমা মন্ডল দাস
-
আর কত দিন
অনিন্দিতা নাথ
-
তুমি ছিলে তাই - অনিন্দিতা নাথ
বিজ্ঞান নাকি বিজ্ঞাপন
-
বৃষ্টির ছড়া
-
কালো মেঘ
-
ঈদের দিনে খুশির দিনে
-
শিশু হবে কবি
-
রবি ঠাকুর ও শিশুপাঠ
আশরাফুল কবীর
-
এ কেমন আমি
গুরুপদ চক্রবর্তী
-
দূর্বুদ্ধ
গৌতম ঘোষ
জ্ঞানেন্দ্র প্রসাদ সরকার
ভালোবাসা
মাকড়সা
জীবন্মৃত
ইউনুস হোসেন
রাত জাগা ধূসর তারা
সুখের অসুখ
- ঐন্দ্রিলা ব্যানার্জ্জী দে
-
-
-
-
-
মানবতার জাগরণ - জহিরুল কায়সার তালুকদার
-
প্রকৃতির ধর্ম - জামাল ভড়
-
লোভ - শিখা কর্মকার
-
জহিরুল কায়সার তালুকদার
-
প্রকৃতির ধর্ম - জামাল ভড়
সৌরভাভিলাষী
ঘরছাড়া পাখী
পাহাড় থমকায় না
মরুমহীরুহ
স্মৃতিসুধা
বিরস পারিভ্রমণ
সাঁঝের পলাশ
হিজিবিজি
তামান্না সাঈদ
-
প্রাণবান হাসি
তাপস কুমার সামন্ত
দীপঙ্কর বেরা
দেবদাস ভট্টাচার্য্য
দীপান্বিতা ব্যানার্জ্জী
নতুন দুর্গা
আলবাট্রস
ছন্নছাড়ার ছিন্নছড়া
নাজমুছ - ছায়াদাত (সবুজ)
-
লাল সীমানায়
-
সময় বন্দনা
-
রান্না বুড়ি
-
প্রেম সংক্রান্ত অধ্যায়
-
তুমি বিষয়ক
-
একটু হিম কথা - নাজমুজ ছায়াদাত সবুজ
নীলাদ্রী দেব
ধীমান চক্রবর্তী
স্বপ্নে আমি আজও
হেলাফেলা সারাবেলা
কোথায় আছিস
পার্থ ঘোষ
পল্লব হাজরা
পলাশ দে
-
সম্পুর্ন অকেজো
পীযুষকান্তি দাস
"অমূল্য ধন "
প্রত্যুষা ব্যানার্জী চক্রবর্ত্তী (রিয়া)
ভিক্ষে-পাত্র
ঐন্দ্রিলা ব্যানার্জী দে

মোঃ মুজিব উল্লাহ
-
অক্টোপাস
-
ফিউশন ২ - মোঃ মুজিব উল্লাহ
মৌ দাশগুপ্তা
মিজানুর রহমান মিজান
-
ফিরে যাব আমি পর্ণ কুটিরে - মিজানুর রহমান মিজান
-
কড়া নাড়ে - মিজানুর রহমান মিজান
-
সরলা - মিজানুর রহমান মিজান
সঠিক গান
চাঁদে জোছনার আলো
সুহৃদ স্বজ্জনে
মানস মুখোপাধ্যায়
মোঃ জাহেদুল ইসলাম সমাপ্ত
ডঃ মহুয়া দাশগুপ্তা
-
তৃষিত চাতক - মফিজুল ইসলাম খান
বলাশাদমান আক্তার
-
বিবেকের
ও অ আ ই ঈ
যতিরেখ্ বিশ্বাস
-
শাশ্বত নিবেদন
যশ চক্রবর্তী
রূপা মণ্ডল
-
কবিতা
-
নতুন জামার গন্ধ
রাজকুমার পাল
ফিউশন কবিতা বা স্বপ্ন লোকে উজ্জয়িনী পুরে
হয়ত সেদিন
নশ্বর
লালন চন্দ্র মণ্ডল
শিখা কর্মকার
শান্তনু সান্যাল
শ্রীয়া দাসগুপ্ত
-
শীতের রাতের একটি ছেলে - শামীম হাসনাইন
শাল সেগুন মেহগনি
-
গড়মিল হিসেব - শাহানার রসিদ ঝর্ণা
-
পালকি - শাহানার রসিদ ঝর্ণা
রক্তচক্ষু
- সন্দীপ ঘোষ
সঞ্জয় বিশ্বাস
-
নববর্ষ
-
হলদিয়া – সঞ্জয় আচার্য্য
-
অধৌত রেখে গেছ – সঞ্জয় আচার্য
সায়নিকা দাস
-
দোসর
সৌভনিক চক্রবর্তী
-
আমার পাগলী
সত্যব্রত আচার্য
-
গভীর ঘুমে ক্যামন করে বেড়ে চলেছে মহাকাল
সৌভিক দা'
সুশীল রায়
সুখেন্দু মল্লিক
সুদীপ্ত বিশ্বাস
-
ধর্ম এখন - সুদীপ্ত বিশ্বাস
-
কালবেলা - সুদীপ্ত বিশ্বাস
সপ্তর্ষি রায়বর্ধন
সন্দীপন দাস
-
কবিতা - সন্দীপন দাস
জীবন সমীকরণ
সজল খোরশেদ
স্বরূপ মন্ডল
গল্পকথা
ডোবা
গড়ের মাঠ
ক্ষেতুর দুয়ার
নিলাদ্রী দেব
শিরনামহীন কবিতা
-সাত্যকি
সন্ধ্যা নামছে যখন
সন্তান
অন্ধকার নামেছে যেখানে ......
অনিন্দিতা নাথ
অনুরিমা মন্ডল দাস
বসন্তপুর, কাকদ্বীপ

আর কতদিন
আর কতদিন পৃথিবীটা ধিক্কারের যন্ত্রণাতে
শুকনো পলাশের পাপড়ির মত থিতিয়ে থাকবে!
মনের রঙিন আয়নাতে বিধবারা কেন
গাঁথতে পারবে না তাঁদের রঙিন স্বপ্ন!
পাশবিক অত্যাচারের স্বীকার হয়ে
লুটিয়ে পড়বে দেবী দশভুজা নারীশক্তি!
আর কত দিন উপহাসের বাক্যবাণ
দিয়ে জর্জরিত করবে বিপ্লবীদের প্রাণ!
ট্রেন ছেড়ে চলে যাওয়ার পর
শূন্য প্ল্যাটফর্ম জীবন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে ভিখারীদের দাবী!
আর কতদিন রজনীগন্ধার
গন্ধ নিয়ে ছেলেখেলা করবে!
শূন্য মাঠের এদিক থেকে ওদিক
সরলতার নিস্পাপতা ফিরিয়ে আনতে চিৎকার করবে!
আবু আফজাল মোহাঃ সালেহ
জীবন নগর, চুয়াডাঙ্গা, বাংলাদেশ
বৃষ্টির ছড়া
ঝিরঝিরিয়ে বৃষ্টি নামে
দস্যি ছেলে লাফিয়ে ওঠে,
বৃষ্টি হবে বৃষ্টি মেখে
বৃষ্টি সুরে বাইবে নাও,
নৌকা চলবে পাল তুলে
বৃষ্টি ঝড়ে দুলছে ঢেউ;
দস্যি ছেলে হাঁপিয়ে ওঠে,
নৌকা চালিয়ে উলটা বাও।
তুমি আর আমি
তুমি থাকো আলিশান বাড়ীতে,
আর বুলেটপ্রুফ কালো গাড়ীতে।
মগ্ন তুমি সাউন্ড সিস্টেমে।
রেইন সার্কুলেশন শুনতে তুমি পাওনা!
ডেকোরেটেড বাসায় চ্যানেল দেখছো,
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে আন্দোলিত ফরেস্ট, পশুপাখি
আর স্টার-তারায় ড্যান্স, চোখ জুড়ানো সব দৃশ্য!
কার, ম্যানশন আর আর্টিফিসিয়ালে ভুলে গেছো ন্যাচারালকে।
আমার কৃষকেরা শোনে জারি, মাঝিরা গায় ভাটিয়ালী,
শ্রমিকেরা গায় সারি।
শোনে শ্রাবণের অফুরাণ বৃষ্টির ধারাপাত।
কী অপূর্ব!
দেখে চড়ুই, শালিক আর শোনে ঘুঘুর ডাক।
আমি শিখি রাখালের কাছে, কৃষকের থেকে।
দেখি দুরন্ত কিশোর-কিশোরী’র জলক্রীড়া।
শিখি পথ-শিশু থেকে।
আমরা বাংলাদেশি বাঙ্গালী
হেফাজত আন্দোলনের পর,
আমি মনে করেছিলাম
কালো মেঘ হবে,
তারপর প্রলয়
অবশেষে হ’বে মহাপ্রলয়!
রানা প্লাজা ধসের পর,
আমি ভেবেছিলাম
সঞ্চয়িত ক্ষোভ জন্ম নেবে দ্রোহে,
অতঃপর আন্দোলন, পরে বিপ্লব হবে,
ধসে পড়বে হোমরা চোমরা সব মালিক
পাহাড় ধসের মতো!
গণজাগরণ মঞ্চের পর,
আমি আশা করেছিলাম
বাংলাদেশ হবে রাজাকারমুক্ত,
ভেসে যাবে সব দুর্নীতি, কুকীর্তি!
আমি হয়তো ভুলে গেছি
এটা বাংলাদেশ, আমরা বাঙ্গালী,
আমরা দু’ভাগে বিভক্ত!
কালো মেঘ
হৈহৈ হৈহৈ
বৃষ্টি বুঝি এই এলো,
রাগ করেছে মেঘলা আকাশ
মুখখানা একটু কালো।
বৃদ্ধ নাপিত নড়ে বসে
কখন বয় দমকা বাতাস,
শঙ্কায় তার মন উতলা
ভাঙে কখন স্বপ্ন আবাস!
তাই কি হয়
শুধুই তুমি গোলাপ নেবে?
এমনি এমনি সৌন্দর্য নেবে?
একটু কাঁটার ছাপ নেবে না!
তাই কি হয়!
তাই কি হয়!
শুধুই তুমি মৃদু বাতাস নেবে?
এমনি এমনি সুবাস নেবে?
একটু ঝড় নেবে না!
তাই কি হয়!
তাই কি হয়!
তুমি কি শুধুই প্রেম নেবে?
এমনি এমনি বন্ধু নেবে?
একটু তিরস্কার, একটু জ্বালা নেবে না?
তাই কি হয়!
তাই কি হয়!
শিশু হবে কবি
রবি রবি
আঁকেন ছবি শিশুর।
কবি কবি
আঁকেন ছবি যিশুর।
ছবি ছবি
রবি-ছবি
দুয়ে মিলে
রবির স্বপন
তরী ভাসান
নদী-বিলে।
শিশুর স্বপন
পাখা মেলে
ওড়ে ছবি
শিশু-ভাবনা
খুলে ঢাকনা
হবে কবি।
কানামাছি
আমি যেন তোমার বুকে
পাথর হয়ে আছি,
এ জীবন টা যেন আমার সাথে
তোমার চোখাচোখি!
বাস্তবতা মানতে যদি তুমি
হতো না তবে ভুল বুঝাবুঝি,
আমি তো নিজের ভুলে
ঠাঁই পেয়েছি আস্তাকূঁড়ে,
খেলছি কানামাছি!
ঈদের দিনে খুশির দিনে
ঈদের দিনে খুশির দিনে
সকাল বিকাল ফুর্তি
পাঞ্জাবি আর নতুন জামায়
আতর-টুপি-কুর্তি।
মিষ্টিমুখে সবাই মিলে
করব কোলাকুলি
বিভেদ বড়াই ভুলে গিয়ে
পরাণ খোলাখুলি।
গরুর গোস্ত মুরগি-খাসি
আছে ঘ্রাণের পোলাও
খেয়েদেয়ে দিই বিলিয়ে
হাতে হাতে মিলাও।
বন্ধু-স্বজন পাড়ার লোকে
মিলব ভেবে বুকে
ছোটবড় নেইতো তফাৎ
দুখ কিবা সুখে।
একটি নাম
একটি নাম সাহস যেন
একটি নাম অভয় দিল
একটি নাম মন্ত্র যেন
আড়মোড়া ভেঙে জেগে ওঠা
যুদ্ধে যাবার।
একটি নাম আশার প্রদীপ
একটি নাম ভরসার প্রতীক
একটি নাম জ্বলজ্বলে
অস্ত্র নিয়ে একজোটে
ঝাঁপিয়ে পড়ার।
একটি নাম লাল-সবুজের
একটি নাম ইলিশ-দোয়েল
একটি নাম রেসকোর্স
ছিনিয়ে নিয়ে দানব থেকে
সঠিক পথে বহমান।
একটি নাম ঢাকা-খুলনা
একটি নাম পদ্মা-মেঘনা
একটি নাম প্রাণে প্রাণে
মিলেমিশে একাকার
মুজিবুর রহমান।
শৈশব মানে
শৈশব মানে স্বাধীনতা
আনন্দ এবং আশা
শৈশব মানে হার না মানা
অন্যায়ের বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য,
নৈতিকতায় হিমায়িত রক্ত!
শৈশব মানে যুদ্ধক্ষেত্র,
কঠিন জীবনের আগে সহজ জীবন-
খাপ খাওয়াতে শেখা।
শৈশব মানে সবুজ বাগান,
অতৃপ্ত বাসনা আর অবাস্তব কল্পনা।
শৈশব মানে ব্যস্ততা,
ক্লাশওয়ার্ক আর হোমওয়ার্কে ভরা,
মধ্যে প্রেমে হাবুডুবু!
শৈশব মানে হলিডে,
সময় কাটে না আলস্যেও,
পিতামাতার সাথে ঘুরাঘুরি।
আমার শৈশব?
-শুধুই স্মৃতি!
আশরাফুল কবীর
এমনি এক হেমন্তে পরিত্যক্ত হয়েছিলাম।
অত:পর ঠিক সেখানটাতেই আছি, ঠিক
যেন এক প্রতীক্ষারত প্রমিথিউসের মতো
ক্লান্ত, নীরব, নিস্তব্ধ সন্ধা হতে উদয়ান্ত
অখন্ড অবসর, কতো যে দিন হয় গতো!
ইয়াত্তা নেই তার, কাল চক্রের পারাপার
কত রাত যে হয় ভোর এক নিমীলতায়,
অবসন্নতায়,ক্লান্ত প্রতীক্ষায়। প্রয়োজন
নেই দু গন্ডা হিসাব মেলানোর জটিলতায়।
একালের অথবা সেকালের, কোন কালের?
এক পৌরানিক প্রশ্ন হয়ে থাক
যদি হও শঙ্খচিল, এসো কালেভদ্রে কখনো
হারিয়ে অচেনা পথের বাক।
আমি আছি সেই একই রকম ঠিক হেমন্তের পর
সম্মুখে চির হিম বসন্ত কাটছেনা শীতের তর।
মিলবেনা হয়তো সব সমীকরন ধাপ থেকে ধাপ
শূন্য বরাবরই শূন্য, নির্জন, পরিত্যাক্ততায় রবে
আমার এফিটাফ।

দুই কালের প্রণয়
বাতিটা আচমকা জ্বলে ওঠে,
আলোতে ভেসে যায় ল্যাম্পপোষ্টের চারপাশ
আঁধারের নিস্পন্দতায় এতটা কাল ঢেকে ছিল যে কালো গহ্বর
আজ সে পেয়েছে দারুণ গতি! মুহূর্তেই পেয়েছে ভাষা
তাইতো সময়ে অসময়ে ঘুরে ফিরে কাছে আসা।
জড়িয়ে দাড়াই
তবু যেন কিছুটা কৌণিক দূরত্ব রয়ে যায়
দ্বিধান্বিত হয় আসলে দুই কালের প্রণয়
চকিতেই বুঝতে পারি
শূন্যতা পূরণ হয়নি
সে তো পূরণ হবার নয়।
আশিস চক্রবর্তী
নন্দননগর, বেলঘরিয়ে
এ কেমন আমি!
যা ক্কলা আজ ভাল করে নাইতে ভুলে গেছি!
কালকে রাতের কলঙ্ক পাঁক,
গভীর নেশার ভীষণ দেমাক,
আসক্তির ছোপ ছোপ দাগ,
আজ সকালে ঘষে ঘষে তুলতে ভুলে গেছি,
যা ক্কলা আজ ভাল করে নাইতে ভুলে গেছি!
দেওয়াল ভরা মুখোশগুলো খোশমেজাজই বড় –
হাব-ভাব সব আলগ আলগ,
লাগ ভেল্কি লাগ লাগ লাগ
আমির সাথে আমির ফারাক
রূপ বদলেই বাজার গরম, নয়তো জড়সড়
শতেক রকম রূপের মুখোস খোশমেজাজী বড়।
বিবেক বেবাক ব্রেক কষেছে নড়ন চড়ন- নট
পুণ্যগুলোর দৈন্য দশা,
আমার পেশা, ‘আমির নেশা’
লক্ষ্মী যখন ঘটে ঠাসা,
কি আসে যায় আমার নাচন শালীন বা উদ্ভট!
তাই-বিবেক বেবাক ব্রেক কষেছে নড়ন চড়ন- নট
ফোলাতে চাও ফোলাও তুমি গালকে হাতে রেখে-
মন বুঝেছি চক্ষু বুজে
গরল পথে সরল খুঁজে
ভুল করিনি নিজে।
বাজি রেখে ভুল করেছি ভুলকে ভুলতে দেখে
ভেবে ভেবে ফোলাও তুমি গালকে হাতে রেখে।
তবুও তোমার ফালতু সময় একটু যদি থাকে-
নিভে যাওয়ার ইতিহাসে
বয়ে যাওয়ার এই প্রয়াসে,
জ্বলতে থাকা স্বর্গবাসে
দীর্ঘশ্বাসের অশ্রু ফোঁটা খানিক দিও এঁকে
যদি তোমার হাতে একটু ফালতু সময় থাকে।
অনিকেত দাস
বিজ্ঞান নাকি বিজ্ঞাপন
রক্তিম সূর্যের সদরে
মাথা নত করে সকলে, কিন্তু
আঁধারে ত্রস্ত রাধাপদ্ম লড়ে যায়
হার মানায় তীক্ষ্ণ রশ্মির বর্শাকে
ঠিক তেমনই শুনেছি নাকি,
বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের কুটুম্বিতা
ধর্ম চায় আকাশ ছুঁতে,
বিজ্ঞানের ধ্বজা ভেঙে,
হয়তো জিতে যাবে..
যুগ তো এখন বিজ্ঞানের নয়,
যুগ বিজ্ঞাপনের

অনীক চক্রবর্তী

ধূসর
সাদা কিম্বা কালো
আঁধার নয়ত আলো
এস্পার কি ওস্পার
এধার অথবা ওধার
আমি কিন্তু ভাই এসবের মাঝে একটু ছোট্ট অবকাশের ফাঁকে সবুজ ঘাসের আগায় ফড়িঙের মতো দুলছি আর দুলছি আর দুলছি।
সঞ্জয় বিশ্বাস
নববর্ষা
আবার শ্রাবণ এল ঘনঘটায়
নিয়ে এল সেই বিষাদ
আর সাথে বয়ে চলা স্বপ্ন ভেলা।
রিম ঝিম ঝিম নূপুরের আওয়াজ।
এবার এই নববর্ষায় নিজেকে ভাসাব না,
শুদ্ধ করে নেব যত অব্যর্থ প্রেম।
ভেজাবো নিজেকে, ভিজিয়ে নেব স্বপ্নের অতীত।
ভিজিয়ে নেব বুকের পাঁজরের রুদ্ধ দীর্ঘশ্বাস।
এবার, শ্রাবণ কে বানাবো নর্তকী
সারাদিন আদরে আদরে ভাসাব এ পৃথ্বী।
ঝম ঝম, ছল ছল ধ্বনি বাজবে সর্বদা,
কদম ফুলে সাজিয়ে দেব এবারের নববর্ষা।
সায়নিকা দাস
দোসর
চায়ের ভাঁড়ে শেষ চুমুক, হাওয়ায় লাস্ট কাউন্টারের ধোঁয়া,
শহুরে ক্লান্তির মাঝে তোর গলার আওয়াজ...
Love-lust এর দ্বন্দ্বে তোর শান্ত প্রতিক্রিয়া,
আমার অসম্ভব তর্কে, চিবুক ছুঁইয়ে হাতে তোর অপলক দৃষ্টি দেখা...
আমার স্মৃতির ভিড়ে তোর এক টুকরো হাসি,
আমার প্রেমের বিরতিতে তোর বিনোদন মাখানো গল্প...
আমার পায়ের ছন্দে তোর নানান গল্প লেখা,
আমার কবিতার দ্বন্দ্বে তোর নির্দ্বিধায় পায়ে পা মেলানো...
নাগরিক হিংস্রতায় এক মুঠো শান্তি পাই তোর পাশে হাঁটলে,
তোর মুখে নাটুকে কথাও শুনতে লাগে বেশ রোমাঞ্চকর...
রোজ কিছু মানুষের ভালবাসা যখন পড়ে থাকে রাস্তায়,
সেই দেখে ভয়ে কুঁকড়ে গিয়ে চেপে ধরি তোর হাত, তখন তুই সেই কষ্টেও ভাগ বসাস...
কারণ? মনে আছ হে সখ তোর নাম রেখেছিলাম দোসর।
সৌভনিক চক্রবর্তী
পূর্ব বিবেকানন্দ পল্লী, শিলিগুড়ি
আমার পাগলী
আমার যখন ভীষণ অভিমান হয়
ভাবি ঐ বুঝি আকাশটা কাঁদবে
আমার যখন ভীষণ ভাল লাগে মনে
ভাবি ঐ বুঝি নদী কাছে ডাকবে।
স্রোতস্বিনী গঙ্গা যখন আপন বেগে
অজানার পথে বইছে
মনে হয় পাগলী আমার না জানা
কত কথা যে কইছে।
মেঘলা দুপুরে যখন সূর্যের মুখটা
থাকে থমথমে ভার
মনে হয় পাগলী আমার রাগটা ভারি
তাই তো অন্ধকার।
মাঝে মাঝে ঋতু – মন্দিরা ফোন করে বলে
‘চলে আয় না – ভারি হয়েছে না তোর পা’
বলতো কেমন করে বোঝাই ‘ওরে – পাগলী –
তো সেই আমার বিদেহী প্রেমিকা’।
ঋদ্ধিমান মাঝে মাঝেই বলে এই বল না বাপু
তোর পাগলী থাকে কোথায়?
বলতো বাপু কেমন করে বোঝাই তোকে
পাগলী আমায় জড়িয়ে আছে ব্যথায়।


ধূসর
সাদা কিম্বা কালো
আঁধার নয়ত আলো
এস্পার কি ওস্পার
এধার অথবা ওধার
আমি কিন্তু ভাই এসবের মাঝে একটু ছোট্ট অবকাশের ফাঁকে সবুজ ঘাসের আগায় ফড়িঙের মতো দুলছি আর দুলছি আর দুলছি।