কবিতা
*********************************
ইমন কল্যান
ইউনুস হোসেন
ঈপ্সিতা মন্ডল
*********************************
উত্তরণ বন্ধোপাধ্যায়
*********************************
ঋতর্ষি দত্ত
*********************************
ঐন্দ্রিলা ব্যানার্জী দে
*********************************
কাকলী ঘোষ
*********************************
গুরুপদ চক্রবর্তী
গৌতম ঘোষ
জ্ঞানেন্দ্র প্রসাদ সরকার
*********************************
জহিরুল কায়সার তালুকদার
জামাল ভড়
*********************************
তাপস কুমার সামন্ত
*********************************
দীপঙ্কর বেরা
দেবাশীষ চ্যাটার্জী
দেবায়ন ভট্টাচার্য্য
দীপান্বিতা ব্যানার্জ্জী
দীপক বন্দ্যোপাধ্যায়
দিলীপ মজুমদার
*********************************
ধীমান চক্রবর্তী
*********************************
নীলাদ্রী দেব
*********************************
পলাশ দে
পার্থ ঘোষ
প্রত্যুষা ব্যানার্জ্জী চক্রবর্তী
পল্লব হাজরা
প্রজ্ঞা পারমিতা রায়
পীযুষকান্তি দাস
*********************************
বলাশাদমান আক্তার
বুবাই হাজরা
*********************************
ভাস্কর সিন্হা
*********************************
মোঃ মুজিব উল্লাহ
মৌ দাশগুপ্তা
ডঃ মহুয়া দাশগুপ্তা
মিজানুর রহমান মিজান
মোঃ জাহেদুল ইসলাম সমাপ্ত
মঈন মুরসালিন
মহঃ ইসহাক আহমেদ
মোঃ মুজিব উল্লাহ
*********************************
যতিরেখ্ বিশ্বাস
যশ চক্রবর্তী
*********************************
রূপা মণ্ডল
রাজকুমার পাল
রণেশ চন্দ্র মজুমদার
রাহুল তরফদার
রীনা নন্দী
*********************************
লালন চন্দ্র মণ্ডল
*********************************
শিখা কর্মকার
শান্তনু সান্যাল
শ্রীয়া দাসগুপ্ত
শাহানার রসিদ ঝর্ণা
শামীম হাসনাইন
শ্রীকান্ত দাস
শক্তিপ্রসাদ ঘোষ
*********************************
সঞ্জয় বিশ্বাস
সায়নিকা দাস
সৌভনিক চক্রবর্তী
সবুজ
সত্যব্রত আচার্য
সৌভিক দা'
আর কতদিন
আর কতদিন পৃথিবীটা ধিক্কারের যন্ত্রণাতে
শুকনো পলাশের পাপড়ির মত থিতিয়ে থাকবে!
মনের রঙিন আয়নাতে বিধবারা কেন
গাঁথতে পারবে না তাঁদের রঙিন স্বপ্ন!
পাশবিক অত্যাচারের স্বীকার হয়ে
লুটিয়ে পড়বে দেবী দশভুজা নারীশক্তি!
আর কত দিন উপহাসের বাক্যবাণ
দিয়ে জর্জরিত করবে বিপ্লবীদের প্রাণ!
ট্রেন ছেড়ে চলে যাওয়ার পর
শূন্য প্ল্যাটফর্ম জীবন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে
ভিখারীদের দাবী!
আর কতদিন রজনীগন্ধার
গন্ধ নিয়ে ছেলেখেলা করবে!
শূণ্য মাঠের এদিক থেকে ওদিক
সরলতার নিস্পাপতা ফিরিয়ে আনতে চিৎকার করবে!
কবিতা
বিজ্ঞান নাকি বিজ্ঞাপন
রক্তিম সূর্যের সদরে
মাথা নত করে সকলে, কিন্তু
আঁধারে ত্রস্ত্র রাধাপদ্ম লড়ে যায়
হার মানায় তীক্ষ রশ্মির বর্শাকে¦
ঠিক তেমনই শুনেছি নাকি,
বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের কুটুম্বিতা¦
ধর্ম চায় আকাশ ছুঁতে,
বিজ্ঞানের ধ্বজা ভেঙে,
হয়তো জিতে যাবে..
যুগতো এখন বিজ্ঞানের নয়,
যুগ বিজ্ঞাপনের।
কবিতা
অনিকেত দাস
ধূসর
সাদা কিম্বা কালো
আঁধার নয়ত আলো
এস্পার কি ওস্পার
এধার অথবা ওধার
আমি কিন্তু ভাই এসবের মাঝে একটু ছোট্ট অবকাশের ফাঁকে সবুজ ঘাসের আগায় ফড়িঙের মতো দুলছি আর দুলছি আর দুলছি।
কবিতা
অনিন্দিতা নাথ
বিজয়গড়, কলকাতা
তুই কে আমার
তুই আমার ভাল থাকার পাসওয়ার্ড,
তুই আমার অভিমানের সুর,
তুই আমার সব উত্তরগুলোর প্রশ্নের খোঁজ পাওয়া-
তুই হিসাব গুলিয়ে যাওয়া ভাললাগা;
তুই আমার ভালবাসায় ভুল করা-
তুই আমার নিটোল প্রেমের একটুখানি খামতি
তুই আমার অনেক চাওয়ার মানে এইটুকু না পাওয়া
তুই আমার সত্যিকারের খারাপ লাগা
তুই আমার ব্যাথা বুকে চেপে রাখা
তুই আমার কান্না জল ঠোটে মিথ্যে হাসি দিয়ে ঢাকা;
তুই আমার বন্ধু থেকে একটু কিছু কম-
- কখন আবার অনেকখানি বেশী
তুই আমার ঠিক যেন আমার করেই রাখি।
তুই আমার?!
কেউ নস তু ই আমার।
তুই আমার মনের ভুল..তুই মিথ্যে..তুই কেবল ফাঁকি।
তুমি ছিলে তাই
শূন্যে ভরা পরীক্ষার খাতা,
মার বকা... কাঁদে ছোট্ট বাচ্চার মনটা;
হাসির এক চিলতে রেখা ইঠাৎ খেলা করে যায় ঠোঁটে
'শচীন'... ঐ যে শচীন রান নিতে ছোটে।
পিঠে ডিগ্রীর বোঝা... মা বাবার গঞ্জনা ভুলে থাকা
বেকারের সান্তনা একটাই
শচীন ঝড়ে কাঁপছে মরুভূমি
শারজায়ে তার জোড়া সেঞ্চুরী
কেউ আসে এমনই ঝড় হয়ে
পালটে দিয়ে জীবনের মানে
হঠাৎই চলে যায়
ধূসর রঙে আঁকা হয় জীবনের জলছবি
তবু বিশ্বাস জন্মায় মনের এক কোণায়
জিতবে ভারত... জিতবেই জেনো শচীনের ব্যাটের ছোঁয়ায়
নির্জন আজ বালুকা বেলায়
স্মৃতিরা শুধু সঙ্গ দেয় আর।
ঐ এক রত্তি ছেলে ভারী ব্যাটের যাদু
ওয়ার্ল্ড কাপে আজও পাকিস্তানকে হারায়।
কত শিশুর কান্নায়
কত প্রেমের আহুতিতে
কত শত নির্জলা উপবাসে
কত মায়ের আকূল প্রার্থনায়
গাঁথা এক মহীরুহর জীবন কাহিনী
আমরণ বাজবে কানে ওই শচীন শচীন বাণী,
ঐ পাঁচ ফুট ছয় ধরবে না আর ব্যাট
শচীন হারা আজ বিশ্ব ক্রিকেট মাঠ
নিস্ফল হার-জিত আজ ক্রিকেট রণে
তুমি ছাড়া
অপূর্ণই জীবনের মানে।
কানামাছি
আমি যেন তোমার বুকে
পাথর হয়ে আছি,
এ জীবন টা যেন আমার সাথে
তোমার চোখাচোখি!
বাস্তবতা মানতে যদি তুমি
হতো না তবে ভুল বুঝাবুঝি,
আমি তো নিজের ভুলে
ঠাঁই পেয়েছি আস্তাকূঁড়ে,
খেলছি কানামাছি!
আমরা বাংলাদেশি বাঙ্গালী
হেফাজত আন্দোলনের পর,
আমি মনে করেছিলাম
কালো মেঘ হবে,
তারপর প্রলয়
অবশেষে হ’বে মহাপ্রলয়!
রানা প্লাজা ধসের পর,
আমি ভেবেছিলাম
সঞ্চয়িত ক্ষোভ জন্ম নেবে দ্রোহে,
অতঃপর আন্দোলন, পরে বিপ্লব হবে,
ধসে পড়বে হোমরা চোমরা সব মালিক
পাহাড় ধসের মতো!
তুমি আর আমি
তুমি থাকো আলিশান বাড়ীতে,
আর বুলেটপ্রুফ কালো গাড়ীতে।
মগ্ন তুমি সাউন্ড সিস্টেমে।
রেইন সার্কুলেশন শুনতে তুমি পাওনা!
ডেকোরেটেড বাসায় চ্যানেল দেখছো,
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে আন্দোলিত ফরেস্ট, পশুপাখি
আর স্টার-তারায় ড্যান্স, চোখ জুড়ানো সব দৃশ্য!
কার, ম্যানশন আর আর্টিফিসিয়ালে ভুলে গেছো ন্যাচারালকে।
আমার কৃষকেরা শোনে জারি, মাঝিরা গায় ভাটিয়ালী,
শ্রমিকেরা গায় সারি।
শোনে শ্রাবণের অফুরাণ বৃষ্টির ধারাপাত।
কী অপূর্ব!
দেখে চড়ুই, শালিক আর শোনে ঘুঘুর ডাক।
আমি শিখি রাখালের কাছে, কৃষকের থেকে।
দেখি দুরন্ত কিশোর-কিশোরী’র জলক্রীড়া।
শিখি পথ-শিশু থেকে।
গনজাগরণ মঞ্চের পর,
আমি আশা করেছিলাম
বাংলাদেশ হবে রাজাকারমুক্ত,
ভেসে যাবে সব দুর্নীতি, কূকীর্তি!
আমি হয়তো ভুলে গেছি
এটা বাংলাদেশ, আমরা বাঙ্গালী,
আমরা দু’ভাগে বিভক্ত!
বৃষ্টির ছড়া
ঝিরঝিরিয়ে বৃষ্টি নামে
দস্যি ছেলে লাফিয়ে ওঠে,
বৃষ্টি হবে বৃষ্টি মেখে
বৃষ্টি সুরে বাইবে নাও,
নৌকা চলবে পাল তুলে
বৃষ্টি ঝড়ে দুলছে ঢেউ ;
দস্যি ছেলে হাঁপিয়ে ওঠে,
নৌকা চালিয়ে উলটা বাও।
কালো মেঘ
হৈহৈ হৈহৈ
বৃষ্টি বুঝি এই এলো,
রাগ করেছে মেঘলা আকাশ
মুখখানা একটু কালো।
বৃদ্ধ নাপিত নড়ে বসে
কখন বয় দমকা বাতাস,
শঙ্কায় তার মন উতলা
ভাঙে কখন স্বপ্ন আবাস!
একটি নাম
একটি নাম সাহস যেন
একটি নাম অভয় দিল
একটি নাম মন্ত্র যেন
আড়মোড়া ভেঙে জেগে ওঠা
যুদ্ধে যাবার।
একটি নাম আশার প্রদীপ
একটি নাম ভরসার প্রতীক
একটি নাম জ্বলজ্বলে
অস্ত্র নিয়ে একজোটে
ঝাঁপিয়ে পড়ার।
একটি নাম লাল-সবুজের
একটি নাম ইলিশ-দোয়েল
একটি নাম রেসকোর্স
ছিনিয়ে নিয়ে দানব থেকে
সঠিক পথে বহমান।
একটি নাম ঢাকা-খুলনা
একটি নাম পদ্মা-মেঘনা
একটি নাম প্রাণে প্রাণে
মিলেমিশে একাকার
মুজিবুর রহমান।
শৈশব মানে
শৈশব মানে স্বাধীনতা
আনন্দ এবং আশা
শৈশব মানে হার না মানা
অন্যায়ের বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য,
নৈ্তিকতায় হিমায়িত রক্ত!
শৈশব মানে যুদ্ধক্ষেত্র,
কঠিন জীবনের আগে সহজ জীবন-
খাপ খাওয়াতে শেখা।
শৈশব মানে সবুজ বাগান,
অতৃপ্ত বাসনা আর অবাস্তব কল্পনা।
শৈশব মানে ব্যস্ততা,
ক্লাশওয়ার্ক আর হোমওয়ার্কে ভরা,
মধ্যে প্রেমে হাবুডুবু!
শৈশব মানে হলিডে,
সময় কাটে না আলস্যেও,
পিতামাতার সাথে ঘুরাঘুরি।
আমার শৈশব ?
-শুধুই স্বৃতি !
ঈদের দিনে খুশির দিনে
ঈদের দিনে খুশির দিনে
সকাল বিকাল ফুর্তি
পাঞ্জাবি আর নতুন জামায়
আতর-টুপি-কুর্তি।
মিষ্টিমুখে সবাই মিলে
করব কোলাকুলি
বিভেদ বড়াই ভুলে গিয়ে
পরাণ খোলাখুলি।
গরুর গোস্ত মুরগি-খাসি
আছে ঘ্রাণের পোলাও
খেয়েদেয়ে দিই বিলিয়ে
হাতে হাতে মিলাও।
বন্ধু-স্বজন পাড়ার লোকে
মিলব ভেবে বুকে
ছোটবড় নেইতো তফাৎ
দুখ কিবা সুখে।
কবিতা
এমনি এক হেমন্তে পরিত্যাক্ত হয়েছিলাম।
অত:পর ঠিক সেখানটাতেই আছি, ঠিক
যেন এক প্রতীক্ষারত প্রমিথিউসের মতো
ক্লান্ত, নীরব, নিস্তব্ধ সন্ধা হতে উদয়ান্ত
অখন্ড অবসর, কতো যে দিন হয় গতো!
ইয়াত্তা নেই তার, কাল চক্রের পারাপার
কত রাত যে হয় ভোর এক নিমীলতায়,
অবসন্নতায়,ক্লান্ত প্রতীক্ষায়। প্রয়োজন
নেই দু গন্ডা হিসাব মেলানোর জটিলতায়।
একালের অথবা সেকালের, কোন কালের?
এক পৌরানিক প্রশ্ন হয়ে থাক
যদি হও শঙ্খচিল, এসো কালেভদ্রে কখনো
হারিয়ে অচেনা পথের বাক।
আমি আছি সেই একই রকম ঠিক হেমন্তের পর
সম্মুখে চির হিম বসন্ত কাটছেনা শীতের তর।
মিলবেনা হয়তো সব সমীকরন ধাপ থেকে ধাপ
শূন্য বরাবরই শূন্য, নির্জন, পরিত্যাক্ততায় রবে
আমার এফিটাফ।
বাতিটা আচমকা জ্বলে ওঠে,
আলোতে ভেসে যায় ল্যাম্পপোষ্টের চারপাশ
আঁধারের নিস্পন্দতায় এতটা কাল ঢেকে ছিল যে কালো গহব্বর
আজ সে পেয়েছে দারুন গতি! মুহূর্তেই পেয়েছে ভাষা
তাইতো সময়ে অসময়ে ঘুরে ফিরে কাছে আসা।
জড়িয়ে দাড়াই
তবু যেন কিছুটা কৌণিক দূরত্ব রয়ে যায়
দ্বিধান্বিত হয় আসলে দুই কালের প্রণয়
চকিতেই বুঝতে পারি
শূণ্যতা পূরণ হয়নি
সে তো পূরণ হবার নয়।
কবিতা
আশিস চক্রবর্তী
নন্দননগর, বেলঘরিয়ে
এ কেমন আমি!
যা ক্কলা আজ ভাল করে নাইতে ভুলে গেছি!
কালকে রাতের কলঙ্ক পাঁক,
গভীর নেশার ভীষণ দেমাক,
আসক্তির ছোপ ছোপ দাগ,
আজ সকালে ঘষে ঘষে তুলতে ভুলে গেছি,
যা ক্কলা আজ ভাল করে নাইতে ভুলে গেছি!
দেওয়াল ভরা মুখোশগুলো খোশমেজাজই বড় –
হাব-ভাব সব আলগ আলগ,
লাগ ভেল্কি লাগ লাগ লাগ
আমির সাথে আমির ফারাক
রূপ বদলেই বাজার গরম, নয়তো জড়সড়
শতেক রকম রূপের মুখোস খোশমেজাজী বড়।
বিবেক বেবাক ব্রেক কষেছে নড়ন চড়ন- নট
পুণ্যগুলোর দৈন্য দশা,
আমার পেশা, ‘আমির নেশা’
লক্ষ্মী যখন ঘটে ঠাসা,
কি আসে যায় আমার নাচন শালীন বা উদ্ভট!
তাই-বিবেক বেবাক ব্রেক কষেছে নড়ন চড়ন- নট
ফোলাতে চাও ফোলাও তুমি গালকে হাতে রেখে-
মন বুঝেছি চক্ষু বুজে
গরল পথে সরল খুঁজে
ভুল করিনি নিজে।
বাজি রেখে ভুল করেছি ভুলকে ভুলতে দেখে
ভেবে ভেবে ফোলাও তুমি গালকে হাতে রেখে।
তবুও তোমার ফালতু সময় একটু যদি থাকে-
নিভে যাওয়ার ইতিহাসে
বয়ে যাওয়ার এই প্রয়াসে,
জ্বলতে থাকা স্বর্গবাসে
দীর্ঘশ্বাসের অশ্রু ফোঁটা খানিক দিও এঁকে
যদি তোমার হাতে একটু ফালতু সময় থাকে।
কবিতা
ইমন কল্যাণ
বৈশাখী নার্গিস
এখানে সবাই বদলে যায়। এমনকি যে ভালবাসে সেও। ক্রশিং এ হাজার খোয়াইশ পথ আটকে।
কে কবে এল গেল ওসবে কিছু যায় আসে না।
মঁশিয়ে আমার একটা আর্জি ছিল।
যখন তুমি একলা হয়ে বন্ধু খোঁজো, কি ভেবে হাতড়াও। হাইওয়ে ধরে একটা মধ্যরাত গড়াতে শুরু করার পর। ধ্বংসস্তুপের ম্যানিকুইনে পর্দা টাঙানো থাকে।
যদিও দুফোটা চোখের জল গড়িয়ে পড়ে নদীতে।
অসংখ্য ব্রিগেড পেড়িয়ে প্রেম আর প্রেম থাকে না। মঁশিয়ে ভালোবাসতে গেলে একটা জীবন কম পড়ে যাবে। নাহলে তো চলতি কা নাম ন দো গ্যায়ারা।
বিশ্বাস আপাতত ক্লোব মিক্সে।**
হাইওয়ে
ঘুম না এলে নীলচে চোয়াল বেয়ে বীরত্ব নেমে আসে। আপনি সুর না বেসুর না অসুর তা বুঝতে কয়েক মাইক্রন শব্দই যথেষ্ট।
একটা বেঞ্জ মার্সিডিজ,
একটা ল্যান্ড রোভার তালিকায় থাকলেও গঙ্গার মেঘলা আকাশ জানে,
আসলে বেঁচে থাকার জন্যে কোনটা বেশি দামী।
মুচকি হেসে এটুকু বলতেই পারি..
হেই নিগর..জাস্ট গ্রো আপ।
পৃথিবী এখনো জেগে।**
ম্যানিকুইন জীবন
হয়ত একটা জীবন কম।
তার পরও অনেক কিছু।
বলি কি একটু ডুব মেরে দিই এক বালতি জলে।
তাও বুঝি হবে না।
কারণ ঠাণ্ডাও কম নয়।
তা বলে যে সুইজারল্যান্ড এ বসে আছি তাও নয়।
গতকাল কিম্বা আজ।
আমার কিছু মনে নেই।
একটা সমুদ্রের ভেতর কতটা জল আছে সেটাও একটা কথা।
আমার গানগুলো পকেটে।
আমার সুর গুলো বালিশে চাপা।
কান্নাগুলো আপাতত জানালায়।
তারপর কে আর খোঁজ রাখে।
আসলেই বিরক্তি কিম্বা নাটক কিম্বা মিথ্যে।
এক সূত্রে বাঁধা।
আমি ডানা মেলে দিই।
আমি ফ্যানের দিকে চেয়ে মৃত্যু ভাবি।
সময় ভাবি।
আমার অনেক কিছুর জানার আছে।
অনেক কিছু বলার আছে।
কিন্তু আগামীকাল কোথায় যেন একটা কেটে যাওয়া বৃষ্টির কবিতা নেমে আসলেও আসতে পারে।
কবিতা
ইউনুস হোসেন
রাত জাগা ধূসর তারা
রাতের অন্ধকার,যখন;
নিজের বসতি স্থাপন করছিল।
দূর্বা আগায় সদ্য দু-এক ফোটা;
হিমেল আবেশ।
এত কোটি নক্ষত্রের ভিড়ে,
দূর কোন এক দেশের তারা ধূসর ভাবে
চেয়ে আছে; যে পালকি,পথ চলেছে
অন্ধকার খুঁড়ে।
নববধূ;
অনাকাঙ্খিত স্পর্শ বিশীর্ণ বিবর্ণ হয়ে,
চারিদিক ভর করেছে।
হঠাৎ এক লক্ষ্মীপেঁচা ডেকে উঠলো,
একটা রুদ্ধ বিষাদ;অনিচ্ছা-পরিণয়।
পাল্কি বাহকদের দাম্ভিক পা গুলো
মেঠোপথে এঁকে চলেছে;
বিচ্ছেদের আলপনা।
অঘ্রানের রাতে চোখ ভেজে,
নীল সমুদ্র জলে।
নিম বনে ঢাকা পড়ে দিগন্ত আকাশ,
ধূসরতা ঝরে; মেদুর হয় ওপাড়।
রাত জাগে তারাটি ধূসর চোখে,
প্রতিচ্ছবি মিশরের নীলনদে।
রাত জাগে তারাটি মহুয়ার বনে;
নীল কালো নক্ষত্রের দেশে।
কবিতা
ঈপ্সিতা মন্ডল
স্বপ্ন ছিল
স্বপ্ন ছিল বুকের মাঝে
যত্ন করে গাঁথা;
স্বপ্ন যে হায় পাখির মত
যায় কি তারে বাঁধা?
ভেবেছিলেম সোনার খাঁচায়
শিকল দিয়ে ধরে
রাখব তারে সারাজীবন
কেবল নিজের করে!
মুক্ত পাখি গায়ের জোরে
বন্দী করা যেই
বদ্ধ হলেম নিজেই যেন
সেই কারাগারেই;
“লালন করা স্বপ্ন তুমি
বাঁধন হয়ে শেষে
এলে আমার জীবন জুড়ে
দুঃস্বপ্নের বেশে?
কেন তবে এমন করে
চেয়েছিলেম তোমায়?
দুলিয়েছিলে হৃদয় কেন
এমনি দুরাশায়?”।
উড়িয়ে দিলেম বন্দী পাখি
মুক্তি পাওয়ার আশায়,
কঠিন কঠোর বাস্তবেতেই
যুঝতে হবে আমায়;
থাক না পাখি বনের মাঝে
থাক না অমনি ছাড়া -
জানলা দিয়ে দেখব তারে
নাই বা দিল ধরা?
ভালবেসে নিজেই যদি
আসে আমার তরে,
বরণ করে নেব তখন
নেব আপন করে।
কবিতা
উত্তরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
উত্তর
মাঝরাতের হ্যালোজেন উৎসবের ভীড়ে
ধীর পায়ে ভেসে যাচ্ছে কেউ
আঁধারের খোঁজে, আরো একবার।
কোন দোষ করেনি সেঃ এমন কিছু,
গুণীও নয়। ভালবাসা দোষ না গুণ?
ভগবান জানেন বলেন না কাউকে।
সে শুধু জানে জন্মদিনের মোম
নিভে গেছে শেষ বারের মত,
এঁটো কেক খাওয়াও সারা।
আর তাকে না যারা, তারা
মাথা উঁচু করে ফিরে গেছে যে যার মত।
বুকে জমে ওঠা আবর্জনার স্তূপে
হারিয়ে গেছে যত চেনা মুখ,
নিভে যাওয়া মোমের ধোঁয়ায় চারিদিক ঝাপসা
বন্ধু-হ্যালোজেন নিভে আসছে;
ভালবাসা দোষ না গুণ?
ভগবান জানেন, আর জানাতে চলেছে সে।
কবিতা
ঋতর্ষি দত্ত
জীবন্মৃত
কাব্য হরণ,
ঝর্ণা কলম শুকিয়ে গেছে, খেরোর খাতা-
শূন্য দোয়াত, হয়নি লেখা জীবন কথা।
ছন্দ পতন,
স্বভাব কবি শব্দ খোঁজে, ব্যর্থ প্রেমে
ধুঁকছে জীবন, গল্প থেমে।
মৃত্যু বরণ,
পরম গুরুর অভাব বোধে-
কবি এখন জীবন্মৃত,
ছন্দে ছড়ায় মনের কথা হয় না বলা আর।
ভালোবাসা
মনের নিবেদন নয়, শরীরের আবেদনে
হৃদয় দেয় সাড়া-
সঙ্গ নয়, অনুষঙ্গ খুঁজে ফেরে
বিরহের নায়ক, মেতে ওঠে মরীচিকার ঝলকানিতে!
বিষাদের তীব্র নেশা বাধ্য করে
অন্তসারশূণ্যতাকে সফরসঙ্গী করতে;
কবিতার ছন্দে, ভাষার কারচুপিতে
বাসনা থাকে সুপ্ত-
অমরত্বের লোভ, মহত্বের হাতছানি আর
প্রেমের বিলাসিতায় ভালোবাসা প্রায় লুপ্ত!
মাকড়সা
মিথ্যে বুনে মিথ্যে বুনে
বানাব এক স্বপ্ন জগৎ;
সহজ ভাবে মিশবে মানুষ
নীল আকাশে উড়বে ফানুস-
দিনের আলো মিলিয়ে গেলে
জ্বালিয়ে নেব রুপোলি আলো,
উচ্ছ্বাসে আর উল্লাসে সব
হারিয়ে যাবে মনের কালো।
হঠাৎ দেখি গিয়েছে সব
‘ব্যাধ’ বলে তুলছে রব
আসলে সবই মনের ভুল
সুতো নয় তো; শুধুই ঝুল
হঠাৎ এসে ধরবে টুঁটি
বলা হবে না, হতে চেয়েছিলাম রেশম গুটি।