কবিতা-ঝুড়ি
সূচীপত্র
-
বৃষ্টির ছড়া/কালো মেঘ - আবু আফজাল মোহাঃ সালেহ
-
এফিটাফ/দুই কালের প্রনয় - আশরাফুল কবীর
-
আর কত দিন - অনুরিমা মণ্ডল দাস
-
নববর্ষ - সঞ্জয় বিশ্বাস
-
দোসর - সায়নিকা দাস
-
প্রাণবান হাসি - তামান্না সাঈদ
-
অক্টোপাস - মোঃ মুজিব উল্লাহ
-
কবিতা -রূপা মণ্ডল
-
আমার পাগলী - সৌভনিক চক্রবর্তী
-
এ কেমন আমি - আশিস চক্রবর্তী
-
বিবেকের - বলাশাদমান আক্তার
-
শাশ্বত নিবেদন - যতিরেখ্ বিশ্বাস
-
দূর্বুদ্ধ - গুরুপদ চক্রবর্তী
-
লাল সীমানায় - নাজমুছ - ছায়াদাত (সবুজ)
-
রঙ তুলিতে আঁকা - সবুজ
-
গভীর ঘুমে ক্যামন করে বেড়ে চলেছে মহাকাল - সত্যব্রত আচার্য
-
সম্পুর্ন অকেজো - পলাশ দে
-
শীতের চত্বরে - রাজকুমার পাল
-
ব্যক্তি-স্বাধীনতা - সৌভিক দা'
-
দ্বিবিধ ৩ - সৌভিক দা'
-
বাকিটা ব্যক্তিগত - সৌভিক দা'
-
দূরত্ব - রাজকুমার
-
ছায়াবৃত্তান্ত - রাজকুমার
-
প্রায়শঃ আমি- রাজকুমার
-
বিশ্বাস করুন, আপনিই একটি কবিতা রাজকুমার
-
তুমি আর আমি - আবু আফজল মোহাঃ সালেহ
-
তাই কি হয় - আবু আফজল মোহাঃ সালেহ
-
পুকুরের ঘাট - গৌতম ঘোষ
-
খাঁচার পাখী - গৌতম ঘোষ
-
আরব বসন্ত - রাজকুমার
-
অনুকবিতা ষষ্ঠক:- মৌ দাশগুপ্তা
-
উড়ান - সৌভিক দা'
-
ব্লক হেড - সৌভিক দা'
-
প্রস্থান - সৌভিক দা'
-
প্রেমিকাকে - রাজকুমার
-
সাপ খেলা - রাজকুমার
-
ভাঙা বিস্কুট - রাজকুমার
-
শিক্ষাগুরু - মিজানুর রহমান মিজান
-
সুখে থাক - মিজানুর রহমান মিজান
-
স্মৃতি আয়নায় দেখা - মিজানুর রহমান মিজান
-
পৃথিবী - রাজকুমার
-
গ্রুপ স্টাডি - রাজকুমার
-
নিঃসঙ্গতার প্রতিচ্ছবি - রাজকুমার
-
একুশের মত - সুশীল রায়
-
একটি মেয়ে - জ্ঞানেন্দ্র প্রসাদ সরকার
-
ইচ্ছে - জ্ঞানেন্দ্র প্রসাদ সরকার
-
তোমার আড়ালে - যশ চক্রবর্তী
-
রাধাচূড়া - তাপস কুমার সামন্ত
-
আমার শহর - কাকলী ঘোষ
-
শাহবাগ মুভমেন্ট - সৌভিক দা'
-
শোয়াইব ও মেহ্জাবীনকে - সৌভিক দা'
-
অনুরণন - লালন চন্দ্র মণ্ডল
-
কানামাছি - আবু আফজল
-
আমরা বাংলাদেশী বাঙালি - আবু আফজল
-
আমি নিজেকে ভাঙতে পারিনি - দীপঙ্কর বেরা
-
কান্না - মানস মুখোপাধ্যায়
-
ভালবাসা - দেবাশীষ চ্যাটার্জী
-
মানবতার জাগরণ - জহিরুল কায়সার তালুকদার
-
প্রকৃতির ধর্ম - জামাল ভড়
-
লোভ - শিখা কর্মকার
-
অধি আত্ম নিবেদন - দেবাশীষ চ্যাটার্জী
-
প্রেম নয় ভালবাসা নয় - সুখেন্দু মল্লিক
-
কেন এল সে - সঞ্জয় রায়
-
ফুটপাত - সুদীপ্ত বিশ্বাস
-
ঝরা পাতা - পার্থ ঘোষ
-
ভাঙা আয়না - শান্তনু সান্যাল
-
ব্রেকিং নিউজ - সৌভিক দা
-
আলেয়া - রাজকুমার
-
এসেছে শরৎ - গৌতম ঘোষ
-
সবু্জ - সোনালি মেঘের ডাক
-
প্রতিবাদী - মোঃ জাহেদুল ইসলাম সমাপ্ত
-
গ্রীষ্মকালের প্রেম - সুদীপ্ত রায়
-
শৈশব মানে - আবু আফজল
-
অবসাদ - সঞ্জয় রায়
-
কনে দেখা আলো - দেবোপমা মিশ্র
-
কবিতা - ডঃ মহুয়া দাশগুপ্তা
-
কবির প্রত্যাবর্তন - সুদীপ্ত বিশ্বাস
-
কবিতা - শ্রীয়া দাসগুপ্ত
-
রিক্ত - ঐন্দ্রিলা ব্যানার্জী দে
-
নিভৃতে - সপ্তর্ষি রায়বর্ধন
-
সভ্যতার কান্না - মিজানুর রহমান মিজান
-
অবুজ মন - পল্লব হাজরা
-
সুখ - শাহানার রসিদ ঝর্ণা
-
গড়মিল হিসেব - শাহানার রসিদ ঝর্ণা
-
পালকি - শাহানার রসিদ ঝর্ণা
-
বৈশাখী নার্গিস - ইমন কল্যান
-
হাইওয়ে - ইমন কল্যান
-
ম্যানকুইন জীবন - ইমন কল্যান
-
মুক্তি - সুদীপ্ত বিশ্বাস
-
আমাদের গ্রাম - প্রজ্ঞা পারমিতা রায়
-
আমার শহরে - কাকলী দাস ঘোষ
-
একটু হিম কথা - নাজমুজ ছায়াদাত সবুজ
-
হারিয়ে গেছে - মঈন মুরসালিন
-
আমি সেই মেয়ে - সুগ্রীব মন্ডল
-
বিবেচনা - মিজানুর রহমান মিজান
-
বেঁহুস - মিজানুর রহমান মিজান
-
উত্তর - উত্তরণ বন্ধোপাধ্যায়
-
তুমি ছিলে তাই - অনিন্দিতা নাথ
-
তৃষিত চাতক - মফিজুল ইসলাম খান
-
স্বপ্ন ছিল - ঈপ্সিতা মন্ডল
-
ধর্ম এখন - সুদীপ্ত বিশ্বাস
-
কালবেলা - সুদীপ্ত বিশ্বাস
-
ফিরে যাব আমি পর্ণ কুটিরে - মিজানুর রহমান মিজান
-
ইচ্ছা মৃত্যু - দেবায়ন ভট্টাচার্য্য
-
অনুভুতি - মহঃ ইসহাক আহমেদ
-
সূর্যের আড়ি - শামীম হাসনাইন
-
শীতের রাতের একটি ছেলে - শামীম হাসনাইন
-
ফিউশন ২ - মোঃ মুজিব উল্লাহ
-
কড়া নাড়ে - মিজানুর রহমান মিজান
-
তুই বিশ্বজয়ী - নাজমুজ ছায়াদাত সবুজ
-
হলদিয়া – সঞ্জয় আচার্য্য
-
অধৌত রেখে গেছ – সঞ্জয় আচার্য
-
কবিতা - সন্দীপন দাস
-
প্রাপ্তি - বুবাই হাজরা
-
শুভ জন্মদিন - দেবদাস ভট্টাচার্য্য
-
সরলা - মিজানুর রহমান মিজান
-
শহর শীত-গ্রাম-প্রেম - রাহুল তরফদার
-
বেলা অবেলার শব্দেরা - রাহুল তরফদার
-
আবদার - রাহুল তরফদার
-
ধূসর - অনীক চক্রবর্তী
-
প্রশ্ন - গৌতম ঘোষ
-
শীত বুড়ি - গৌতম ঘোষ
-
অন্য এক পথ - শ্রীকান্ত দাস
-
অমূল্য ধন - পীযুষকান্তি দাস
-
রান্নাবুড়ি- নাজমুছ ছায়াদাত
-
নতুন দূর্গা - দীপান্বিতা ব্যানার্জ্জী
-
নতুন জামার গন্ধ - রূপা মন্ডল
-
কবিতা - আবু আফজল মোঃ সালেহ
-
কবিতা - নীলাদ্রী দেব
-
হেলাফেলা সারাবেলা - ধীমান চক্রবর্তী
-
কোথায় আছিস - ধীমান চক্রবর্তী
-
জীবন সমীকরণ - সুস্মিতা দত্ত
-
ভিক্ষেপাত্র - প্রত্যুষা ব্যানার্জ্জী চক্রবর্তী - কবিতা
-
সঠিক গান - মিজানুর রহমান মিজান
-
নিখোঁজ অবসাদ - সজল খোরশেদ
-
আলবাট্রস - দীপক বন্দ্যোপাধ্যায়
-
চাঁদে জোছনার আলো - মিজানুর রহমান মিজান
-
সুহৃদ স্বজ্জনে - মিজানুর রহমান মিজান
-
হেলাফেলা সারাবেলা - ধীমান চক্রবর্তী
-
ডোবা - স্বরূপ মন্ডল
-
গড়ের মাঠ - স্বরূপ মন্ডল
-
ভালোবাসা - ঋতর্ষি দত্ত
-
ঘরছাড়া পাখী - ভাস্কর সিন্হা
-
পাহাড় থমকায় না - ভাস্কর সিন্হা
-
সৌরভাভিলাষী - ভাস্কর সিন্হা
-
শাল সেগুন মেহগনি - শক্তিপ্রসাদ ঘোষ
-
ফিউশান কবিতা বা স্বপ্নলোকে উজ্জয়িনী পুরে - রণেশ চন্দ্র মজুমদার
-
তুমি বিষয়ক - নাজমুছ- ছায়াদাত ( সবুজ )
-
প্রেম সংক্রান্ত অধ্যায় - নাজমুছ - ছায়াদাত (সবুজ)
-
রান্না বুড়ি - নাজমুছ - ছায়াদাত (সবুজ)
-
রাত জাগা ধুসর তারা - ইউনুস হোসেন
-
গল্প কথা - স্বরূপ মন্ডল
-
সন্তান - সাত্যকি (পলাশ দে)
-
অন্ধকার নামেছে যেখানে - সাত্যকি (পলাশ দে)
-
সন্ধ্যা নামছে যখন - সাত্যকি (পলাশ দে)
-
ছন্নছাড়ার ছিন্নছড়া - দিলীপ মজুমদার
-
নশ্বর - রীনা নন্দী
-
হয়ত সেদিন রীনা নন্দী
-
ক্ষেতুর দুয়ার - স্বরূপ মণ্ডল (বিবর্তন)
-
বিজ্ঞান নাকি বিজ্ঞাপন - অনিকেত দাস
-
স্বপ্নে আমি আজও- ধীমান চক্রবর্তী
কবিতা
আবু আফজাল মোহাঃ সালেহ
বৃষ্টির ছড়া
ঝিরঝিরিয়ে বৃষ্টি নামে
দস্যি ছেলে লাফিয়ে ওঠে,
বৃষ্টি হবে বৃষ্টি মেখে
বৃষ্টি সুরে বাইবে নাও,
নৌকা চলবে পাল তুলে
বৃষ্টি ঝড়ে দুলছে ঢেউ ;
দস্যি ছেলে হাঁপিয়ে ওঠে,
নৌকা চালিয়ে উলটা বাও।
কালো মেঘ
হৈহৈ হৈহৈ
বৃষ্টি বুঝি এই এলো,
রাগ করেছে মেঘলা আকাশ
মুখখানা একটু কালো। বৃদ্ধ নাপিত নড়ে বসে
কখন বয় দমকা বাতাস,
শঙ্কায় তার মন উতলা
ভাঙে কখন স্বপ্ন আবাস!
কবিতা
আশরাফুল কবীর
এমনি এক হেমন্তে পরিত্যাক্ত হয়েছিলাম।
অত:পর ঠিক সেখানটাতেই আছি, ঠিক
যেন এক প্রতীক্ষারত প্রমিথিউসের মতো
ক্লান্ত, নীরব, নিস্তব্ধ সন্ধা হতে উদয়ান্ত
অখন্ড অবসর, কতো যে দিন হয় গতো!
ইয়াত্তা নেই তার, কাল চক্রের পারাপার
কত রাত যে হয় ভোর এক নিমীলতায়,
অবসন্নতায়,ক্লান্ত প্রতীক্ষায়। প্রয়োজন
নেই দু গন্ডা হিসাব মেলানোর জটিলতায়।
একালের অথবা সেকালের, কোন কালের?
এক পৌরানিক প্রশ্ন হয়ে থাক
যদি হও শঙ্খচিল, এসো কালেভদ্রে কখনো
হারিয়ে অচেনা পথের বাক।
আমি আছি সেই একই রকম ঠিক হেমন্তের পর
সম্মুখে চির হিম বসন্ত কাটছেনা শীতের তর।
মিলবেনা হয়তো সব সমীকরন ধাপ থেকে ধাপ
শূন্য বরাবরই শূন্য, নির্জন, পরিত্যাক্ততায় রবে
আমার এফিটাফ।
বাতিটা আচমকা জ্বলে ওঠে,
আলোতে ভেসে যায় ল্যাম্পপোষ্টের চারপাশ
আঁধারের নিস্পন্দতায় এতটা কাল ঢেকে ছিল যে কালো গহব্বর
আজ সে পেয়েছে দারুন গতি! মুহূর্তেই পেয়েছে ভাষা
তাইতো সময়ে অসময়ে ঘুরে ফিরে কাছে আসা।
জড়িয়ে দাড়াই
তবু যেন কিছুটা কৌণিক দূরত্ব রয়ে যায়
দ্বিধান্বিত হয় আসলে দুই কালের প্রণয়
চকিতেই বুঝতে পারি
শূণ্যতা পূরণ হয়নি
সে তো পূরণ হবার নয়।
আর কতদিন
অনুরিমা মন্ডল দাস, বসন্তপুর, কাকদ্বীপ
আর কতদিন পৃথিবীটা ধিক্কারের যন্ত্রনাতে
শুকনো পলাশের পাপড়ির মত থিতিয়ে থাকবে!
মনের রঙিন আয়নাতে বিধবারা কেন
গাঁথতে পারবে না তাঁদের রঙিন স্বপ্ন!
পাশবিক অত্যাচারের স্বীকার হয়ে
লুটিয়ে পড়বে দেবী দশভুজা নারীশক্তি!
আর কত দিন উপহাসের বাক্যবাণ
দিয়ে জর্জরিত করবে বিপ্লবীদের প্রাণ!
ট্রেন ছেড়ে চলে যাওয়ার পর
শূন্য প্ল্যাটফর্ম জীবন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে ভিখারীদের দাবী!
আর কতদিন রজনীগন্ধার
গন্ধ নিয়ে ছেলেখেলা করবে!
শূণ্য মাঠের এদিক থেকে ওদিক
সরলতার নিস্পাপতা ফিরিয়ে আনতে চিৎকার করবে!
নববর্ষা
আবার শ্রাবণ এল ঘনঘটায়
নিয়ে এল সেই বিষাদ
আর সাথে বয়ে চলা স্বপ্ন ভেলা।
রিম ঝিম ঝিম নূপুরের আওয়াজ।
এবার এই নববর্ষায় নিজেকে ভাসাব না,
শুদ্ধ করে নেব যত অব্যার্থ প্রেম।
ভেজাবো নিজেকে, ভিজিয়ে নেব স্বপ্নের অতীত।
ভিজিয়ে নেব বুকের পাঁজরের রুদ্ধ দীর্ঘশ্বাস।
এবার, শ্রাবন কে বানাবো নর্তকী
সারাদিন আদরে আদরে ভাসাব এ পৃথ্বী।
ঝম ঝম, ছল ছ্ল ধ্বনি বাজবে সর্বদা,
কদম ফুলে সাজিয়ে দেব এবারের নববর্ষা।
প্রাণবান হাসি
তামান্না সাঈদ
হাসি ছাড়া আর আছে কি?
হাসি মনে থাকি, মলিনতা দূর করে
দুঃখকে ভুলে সুখের স্বাগতম।
হাসি দাও মন খুলে
ক্রন্দনের দুয়ার কর বন্ধ।
সাফল্যের লক্ষে হাসির ভুমিকাই ফুটে
যেওনা যে ভেসে দুঃখের জোয়ারে
হাসি কোন নারীর ঠোঁটে
লাগে যে বেশ অসাধারণ
হাসি সুস্হ দেহের অঙ্গ।
দোসর
সায়নিকা দাস
চায়ের ভাঁড়ে শেষ চুমুক, হাওয়ায় লাস্ট কাউন্টারের ধোঁয়া,
শহুরে ক্লান্তির মাঝে তোর গলার আওয়াজ...
Love-lust এর দ্বন্দে তোর শান্ত প্রতিক্রিয়া,
আমার অসম্ভব তর্কে, চিবুক ছুঁইয়ে হাতে তোর অপলক দৃষ্টি দেখা...
আমার স্মৃতির ভিরে তোর এক টুকরো হাসি,
আমার প্রেমের বিরতিতে তোর বিনোদন মাখানো গল্প...
আমার পায়ের ছন্দে তোর নানান গল্প লেখা,
আমার কবিতার দ্বন্দে তোর নির্দ্বিধায় পায়ে পা মেলানো...
নাগরিক হিংস্রতায় এক মুঠো শান্তি পাই তোর পাশে হাঁটলে,
তোর মুখে নাটুকে কথাও শুনতে লাগে বেশ রোমাঞ্চকর...
রোজ কিছু মানুষের ভালবাসা যখন পড়ে থাকে রাস্তায়,
সেই দেখে ভয়ে কুঁকড়ে গিয়ে চেপে ধরি তোর হাত, তখন তুই সেই কষ্টেও ভাগ বসাস...
কারণ? মনে আছ হে সখ তোর নাম রেখেছিলাম দোসর।
অক্টোপাস
মোঃ মুজিব উল্লাহ
তুমি ফিরছো দুঃসাহস
বেদনার শিশিরে কষ্টের সকাল
ছুঁয়ে দ্যাখ বিষের পেয়ালা
কেবলি স্বপ্নময় মানবিক চিবুক
উদাসীন আখিঁর জ্যোৎস্নাহীন রাত
ভাঙ্গনের মুখে বালিয়াড়ী নদী
কেবলি স্মৃতি রাতের বিশ্বাস
আশেপাশে ভাঙ্গন মৃত্যুর ছায়া
উদাসীন স্তনে কামনার দুঃসাহস
কেবলি উত্তাপ পরাজিত মায়া
ফ্রিজে সংরক্ষিত যৌবনের শিরা
শূন্যতার রাত্রি স্বশব্দ ভাঙ্গন
সংসার নগরে অবিশ্বাসের পলি
কেবলি চারিদিকে বিষবৃক্ষের অক্টোপাস
স্বপ্নময় ধ্বংসস্তূপে বেদনার বাসর
নগ্ন স্নায়ু বন্দরে ফিরে
ক্ষুব্ধ কামনার সর্বনাশা অপচয়
কেবলি চিরকাল ঘাতক সময়
প্রতিবন্ধী রৌদ্রের বেজন্মা উপহাস
ফিরছে দুঃসাহস ভেজা নিরবতা
কেবলি কষ্টের বিষবৃক্ষ লতা
নিঃশ্বাসের ঘ্রানে সময়ের স্মৃতি
নিরবতা ছুঁয়ে ক্ষতচিহ্নের ছোবল
কেবলি পিপাসা বিষের পেয়ালা
শব্দহীন চুমুকে ভাঙ্গনের নাম
উদাসীন আঁখি বেদনার স্রোতে
প্লাবিত যৌবন জীবনের খাম।
কবিতা
রূপা মণ্ডল
আমি চড়ি গাড়ী
কিন্তু সরস্বতীর সাথে মোর আড়ি।
ছোটবেলায় যখন পড়তে বসতাম,
বাবার বকা খেয়ে মায়ের কোলে ঢুকতাম।
তখন ভাবিনি এমন দিন আসবে,
সবাই যখন আমায় দেখে হাসবে,
বলবে 'ঐ দেখ ফেল করা ছেলেটা,
কিনেছে এখন একটা টয়োটা
বাপের পয়সায় এত ফুটানি
নিজে কিছু করার মুরোদ নেই, জানি'।
যখন ইয়ার-বন্ধু নিয়ে রকে আড্ডা দিতাম,
রাখিকে সকাল-বিকেল কলেজ যেতে দেখতাম,
একদিন বলেই ফেললাম, 'তোমায় ভালবাসি'।
সবার মাঝে রাখি আমায় চড় মারল ঠাসি।
বলল, 'মূর্খ বামন হয়ে চাঁদে বাড়াচ্ছ হাত?
সম্পর্ক পারেই না হতে তোমার আমার সাথ'।
কাটল আমার কয়েকটা দিন, মুহ্যমান শোকে,
যেদিন রাখি বিয়ে করল ডাক্তার পাত্রকে!
আমার রেজাল্ট দেখে বাবা বেজায় হতাশ হ'ল
বন্ধুকে বলে কয়ে আমায় চাকরী করে দিল।
কিন্তু যেদিন সেথায় বিদ্যার দৌড় ধরা পড়ল,
চাকরী খুইয়ে আবার সেই রকেই ঠাই হল
তখন থেকেই মস্তানি, আমি হলাম রকবাজ,
এলাকার ত্রাস আমি, লোকে বলে 'তোলাবাজ'।
একদিন সাথে যারা একই স্কুলে পড়ত,
তারাই মুখ ঘুরিয়ে চলে সামনে যখন আসত।
অনেক টাকা নগদ নিয়ে বাবা দিল বিয়ে
নামে সে সুধা হলেও অতি মুখরা মেয়ে!
ঘরে সুধা আছে, শান্তি নেই, বিধি মোর বাম!
কেউ বলে না ভাল আমায় সবখানে বদনাম!
ভাল ছেলে নই কো আমি, আমার সাথে তাই,
সম্পর্ক ছেদ করেছে আমার আপন ভাই
দলের নেতার সাথে আমার নিত্য উঠা-বসা,
ইলেকশনে জিতিয়ে দেবে - এই তার আশা!
রাখি এখন অতি সুখি স্বামী সন্তান নিয়ে,
করেছে সেটল তারা আমেরিকা গিয়ে!
আজকে আমার পরিচয় ভাড়াটে এক গুণ্ডা,
হয়ত আমি মানুষ হ'তাম দিলে পড়ায় মনটা!
আমার পাগলী
সৌভনিক চক্রবর্তী
পূর্ব বিবেকানন্দ পল্লী, শিলিগুড়ি
আমার যখন ভীষণ অভিমান হয়
ভাবি ঐ বুঝি আকাশটা কাঁদবে
আমার যখন ভীষণ ভাল লাগে মনে
ভাবি ঐ বুঝি নদী কাছে ডাকবে।
স্রোতস্বিনী গঙ্গা যখন আপন বেগে
অজানার পথে বইছে
মনে হয় পাগলী আমার না জানা
কত কথা যে কইছে।
মেঘলা দুপুরে যখন সূর্যের মুখটা
থাকে থমথমে ভার
মনে হয় পাগলী আমার রাগটা ভারি
তাই তো অন্ধকার।
মাঝে মাঝে ঋতু – মন্দিরা ফোন করে বলে
‘চলে আয় না – ভারি হয়েছে না তোর পা’
বলতো কেমন করে বোঝাই ‘ওরে – পাগলী –
তো সেই আমার বিদেহী প্রেমিকা’।
ঋদ্ধিমান মাঝে মাঝেই বলে এই বল না বাপু
তোর পাগলী থাকে কোথায়?
বলতো বাপু কেমন করে বোঝাই তোকে
পাগলী আমায় জড়িয়ে আছে ব্যথায়।
এ কেমন আমি!
আশিস চক্রবর্তী
নন্দননগর, বেলঘরিয়ে
যা ক্কলা আজ ভাল করে নাইতে ভুলে গেছি!
কালকে রাতের কলঙ্ক পাঁক,
গভীর নেশার ভীষণ দেমাক,
আসক্তির ছোপ ছোপ দাগ,
আজ সকালে ঘষে ঘষে তুলতে ভুলে গেছি,
যা ক্কলা আজ ভাল করে নাইতে ভুলে গেছি!
দেওয়াল ভরা মুখোশগুলো খোশমেজাজই বড় –
হাব-ভাব সব আলগ আলগ,
লাগ ভেল্কি লাগ লাগ লাগ
আমির সাথে আমির ফারাক
রূপ বদলেই বাজার গরম, নয়তো জড়সড়
শতেক রকম রূপের মুখোস খোশমেজাজী বড়।
বিবেক বেবাক ব্রেক কষেছে নড়ন চড়ন- নট
পুণ্যগুলোর দৈন্য দশা,
আমার পেশা, ‘আমির নেশা’
লক্ষ্মী যখন ঘটে ঠাসা,
কি আসে যায় আমার নাচন শালীন বা উদ্ভট!
তাই-বিবেক বেবাক ব্রেক কষেছে নড়ন চড়ন- নট
ফোলাতে চাও ফোলাও তুমি গালকে হাতে রেখে-
মন বুঝেছি চক্ষু বুজে
গরল পথে সরল খুঁজে
ভুল করিনি নিজে।
বাজি রেখে ভুল করেছি ভুলকে ভুলতে দেখে
ভেবে ভেবে ফোলাও তুমি গালকে হাতে রেখে।
তবুও তোমার ফালতু সময় একটু যদি থাকে-
নিভে যাওয়ার ইতিহাসে
বয়ে যাওয়ার এই প্রয়াসে,
জ্বলতে থাকা স্বর্গবাসে
দীর্ঘশ্বাসের অশ্রু ফোঁটা খানিক দিও এঁকে
যদি তোমার হাতে একটু ফালতু সময় থাকে।
বিবেকের...
বলাশাদমান আক্তার
আমি তোমার কান্নাভেজা কবিতায়
আমি তোমার আজব ভাঙা শহরটায়
আমি তোমার মিষ্টি হারানো সময়টায়
সারাক্ষন তোমাকে দেখি
আর তোমাকে হাসাই
কে বলে তুমি হাসতে পারো না
এই তো হাসছো তুমি…… বিলীন যন্ত্রণা
কেন বুঝেও নাবুঝের অভিনয়
সে তো আজ আর তোমার নয়
দূর থেকে বয়ে আসা বাতাসের
ইচ্ছে তোমাকে উড়িয়ে নিবার
বৃষ্টি নেমেছে মাত্র যাও না তুমি
দরজার বাহিরে ডাকছে দুষ্টামি।
যতিরেখ্ বিশ্বাস
অতৃপ্তির বিষাক্ত ফলা
খসে পড়ছে... সুতীব্র প্রেমের কাছেএ সে
নিষ্ফলা জমির কোলে
ফসল ফলছে... জল সেচের সৌরভে
আমরা এগিয়ে যাচ্ছি...
হাতে হাত ধরে আল পথ বেয়ে
আকাশের কোল ভরেছে মেঘে
বৃষ্টি আসছে... চলো কোথাও আশ্রয় নি
দুর্বুদ্ধ
গুরুপদ চক্রবর্তী
জীবন প্রভাতে আশ্চর্য চোখে দেখা পৃথিবীকে
প্রশ্ন করেছিলাম
কী তোমার পরিচয়?
জাদুকরের দূর্বুদ্ধ হাসি হেসে
দিয়েছিলে উত্তর
চিনবে না আমায়।
এরপর আরো কত বর্ষ হয়ে পার
কিশোর আমার মন
করল জিজ্ঞাসা তারে
কি তোমার পরিচয়য়?
পৃথিবীটা হাসল নিরুত্তর।
বড় হলাম আর
অর্থনীতি, সমাজনীতি
কামসূত্রও, মনস্তত্ত্ব
কেমিস্ট্রি, ফিজিক্স -
সাইন্টিফিক চিন্তাধারা –
বিশ্বাসে ভরপুর।
ফের জিজ্ঞাসা করি, -
জগতের পরিচয় -
তবু এক পৃথিবী
দিল না উত্তর
এরপর অনেক বছর হল পার
লঙ্গাই, কুশিয়ারা
জলের ধারা
অনেক গিয়েছে চলে
স্ত্রী-পুত্র সংসার,
ব্যবসা ও রাজনীতি
সাফল্য আমার হাতে আজ।
জীবন সায়াহ্নে
হাজার অভিজ্ঞতায় অভিজ্ঞ আমি
করেছি আবার জিজ্ঞাসা তারে-
কি তোমার পরিচয়, দেবে না জানতে?
আবার দূর্বুদ্ধ হাসি হেসে
দিল সে উত্তর
আমায় চেনে নি কেউ, চিনবে না তুমি।
লাল সীমানায়
সবুজ
অজানায় পাড়ি দেয়
হাজারো ব্যথাতুর স্বপ্নেরা।
রঙিন আশা বুকে,
বাঁচার নেশায় ছুটে চলে
ধ্রুব তারার পিছে।
নীল জল চিরে
দিন রাত একাকার
নেই ঘুম নির্বিকার - লক্ষ্য
কোনও এক সোনালী আলোর দেশে।
দিন যায় দিন আসে
কত চাঁদনিরা এসে ফিরে যায়
বিমর্ষ হয়ে
জোনাকিরা ফিরে যায় আপন পথে।
অন্ধকার ও হার মানে এ ছুটে চলাকে।
কত শত আশাহত মুখ আর
রাশি রাশি সমুদ্র নীল ঘাতক।
সোনার তরীর হাল ভেঙ্গে তাই
নিশ্চুপ নাবিক বিধাতা।
লাখো প্রাণ আজ সুদিন খোঁজে।
হাতের রেখা আর কপালের ভাজে ,
এত এত স্বপ্নগুলো ভিড়বে কি কিনারায়?
দিকে দিকে আজ রব ওঠে বিশ্ব মানবতার।
স্বর্গ থেকে যখন অট্টহাসে লাখো কোটি আয়লান
বল শাহেন শাহ্ একটুও কি তোমার
কাপে না মহা দরবার?
আজ বসন্ত, বসন্ত -
ঋতুপূর্ন নির্লোক, অলীক ভীষণ ও সুন্দরের এক নিরুপম -
তোমাদের নিয়ে আজ আমি
শিকড়সমেত সআকাশ ও দিগন্তের স্থলপদ্ম,
এই একমাত্র সম্বল -
যেটুকু রং এখনো সূর্যের আলো নিয়ে
পড়ে আছে পাপড়িতে -
ঐটুকু ---- অসীম,
বিতৃষ্ণার মতো একটা বড় আকাশ
নিরুৎসাহের মতো একটা বড় গহ্বর
ক্ষতির মতো একটা বড় স্বীকার -
কোন তীব্র বাসনাকে খোঁজ করে?
কোন চেতনার গোকুল গন্ধে তীব্র সময়
জন্ম দিয়েছিল দেবতার !
দেবদেবীর ঠোঁটে ক্যানো জ্বলজ্বল করছিল
বার্ণিশের তীব্র রং?
আমাকে শান্ত করে দেবে বলে !
ক্ষয়মান পরিবেশে আমরা সবাই
চঞ্চল বলেই কি, জোর করে চেষ্টা করছি
একটু বেশী শ্বাস নেওয়ার!
ওহে দ্বন্দ্ব-যুদ্ধ, ত্যারচা-তরবারি, ঝুলন্ত-স্নায়ু
তোমরা জানো কি
গভীর ঘুমে ক্যামন করে বেড়ে চলেছে মহাকাল!
রঙ তুলিতে আঁকা
এন এস সবুজ, মিরপুর, বাংলাদেশ
মেঘ রোদ্দুরের মাঝে
দেখেছিলাম –আমি দেখেছিলাম
আলগা পায়ে নূপুর পরা এক
শ্যাম বালিকা।
এলো চূলে কাজল এঁকে চোখে
মিষ্টি হাসি লেগে ছিল তার মুখে।
দুধ সাদা রং আলতা পায়ে
করছিল কাদায় মাখামাখি,
সারা অঙ্গে বৃষ্টির খেলা,
খুশি কাজল আঁখি,
দেখেছিলাম আমি
সাক্ষী অন্তর্যামী।
গভীর ঘুমে ক্যামন করে বেড়ে চলেছে মহাকাল
সত্যব্রত আচার্য
এখন পৃথিবীটা একা একা বাড়ছে
সূর্য থেকে সূর্যে,
মহীরুহ গাছের পাতা ও লতা
জড়িয়ে রয়েছে ভেজা দেওয়ালে
দেওয়াল ফেটে বেরিয়ে পড়েছে ফুসফুসনালী
আমাকে নিয়ে আর তোমরা চিন্তা কোরো না,
অমিতো এখানে নেই !
বিমর্ষ নি:ঝুম বোকাবোকা অদ্ভুত যত দ্বন্দ্ব
সব বিছানাপাতি গোছাচ্ছে চলে যাবে বলে
পরাজিত হলে ওরা আর
ফিরে আসে না
বিবর্ণ, ছেঁড়া, বিলীয়মান
মধ্যে প্রাণ ছিল না কখনো, তাই -
স্ব-অস্তিত্বে জেগে ওঠার
বাসনা ও কামনা ওদের নেই,
ওদিকে একটা স্থলপদ্ম নিজের মাঝে
নিজের চেহারায় ও বর্ণে ফুটছে,
আলোটাকে অর গায়ে লাগতে দিতে হবে
শিকড়টাকে হতে হবে দৃঢ়
উপশিকড়মণ্ডলীকে একাত্ম করে,
তবুও তো ওই পাপড়িতে
পোকামাকড় বসে, ক্ষতি করে -
করুক।আমি ক্ষয নিবারণ করব না,
শীতের চত্বরে
রাজকুমার পাল
রঙ্গময়ী বঙ্গভূমির ঋতুর আঙিনায়
ম্রিয়মান তাপসী কুন্দের শুভ্র বৈরাগ্যের বেদনায়,
ধূসর বার্ধক্য আর রিক্ততার নিঃশব্ধ চিত্রগীত
দেয় শীত শীতল হস্ত সুদূর প্রসারিত।
কুহেলী হিমানীর কাফন বিছায়ে
শীত খর্জূর বীথি শিশির সিক্ত করে,
সীমাহীন প্রান্তরে পেতে শূন্য আসন
সরবরিক্ত উদাসী সন্ন্যাসী করে ধ্যান।
নিঃশ্বাসে ভরে বায় কুয়াশার আবরণ,
ত্যাগের অপরূপ মহিমায় তার সর্বাঙ্গ ভাস্বরণ;
একতারা হাতে লয়ে উত্তর বায় তোলে বিষণ্ণ ঝঙ্কার।
পত্রের অকাল পতনে পাণ্ডুর বনবীথি শঙ্কে
মানব আশ্রয় লয় কাথা-কম্বলের কবোষ্ণ অঙ্কে;
হিমেল হাওয়া নৃত্য করে আমলকীর ডালে,
শিশির সিক্ত ঘাসের মাথায় মুক্তমানিক জ্বলে,
কাকের কর্কশ ধ্বনি মোরগের জাগরণী সুর
করে শীত ঘুম দূর।
আমের গন্ধে আমোদ করে শতক মৌমাছি,
বাচ্চা-যুবা শীতের পরশে করে হাঁচাহাঁচি।
সূর্যমুখী গাঁদা অতসীর রূপ গন্ধ ছোটে,
লাউ কুমড়ো শ্যামল বাগিচায় লকলকিয়ে ওঠে;
খেজুর গাছের মাথায় মাটির ভাঁড়ে
সঞ্জীবনী সুধা মিটেল রস টিপিটিপি ঝরে।
নলেন গুড়ের মিশ্তি-মধুর আমেজ ধরে
মৌঝোলা গুড়ের পীঠে-পায়েসে মন ভরে।
সম্পুর্ন অকেজো
পলাশ দে
এদিকটায় দেখছি অসামরিক কারুকার্য,
আরেকদিকে রবার্ট ক্লাইভের অ্যাডভ্যাঞ্চার...
চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে -
যুদ্ধের বাকী অস্ত্রগুলো।
বাদবিবাদের সমারহে আজ দেখি
সম্পুর্ন অকেজো হয়ে পড়েছে মার্ক্সের প্রথা...
কবিতা
আশরাফুল কবীর
কবিতা
সৌভিক দা'
ধানমন্ডী, ঢাকা, বাংলাদেশ
ব্যক্তি-স্বাধীনতা
সংকট-উত্তরকালে পাখিরা উড়ে যাচ্ছে নিম্নমুখী গন্তব্যে
যদিও.. উড়ছে বলে আপাতঃদৃষ্টিতে সেটি বোঝা যাচ্ছে না।
পক্ষীকূল! সাবধান!
তোমাদের রঙসর্বস্ব পালকগুলো -
দিন শেষে পড়ে থাকবে ব্যারেন আইল্যান্ডে...
দ্বিবিধ ৩
১। দুরত্ব বজায় রাখি সমানুপাতিক
২। দাড়কাকটি কিছুতেই তার গায়ের রঙের
সাথে অন্য পাখিদের মেলাতে পারেনা
৩। সরন ও ত্বরনের সুত্র জানিনা এই প্রাচীন প্রেমিক!
৪। মানুষের মধ্যে বাস করে এক গোত্রচ্যুত কাক
৫। মনের ভেতর বর্ষা নাই, শুধু শরীরভর্তি ক্ষুধা
৬। পরাগরেণুর মত বাতাসে উড়ে আসে
কীর্তনখোলা নদীর হাহাকার -
বাকিটা ব্যক্তিগত
সেইসব দুঃখগুলো এতই ব্যক্তিগত ছিল যে
আমি গোপন করেছি আমার ব্যক্তিগত ডায়েরীর কাছে,
আমার নির্জনতার কাছে,
এমনকি আমার মস্তিষ্কের কাছেও...
কিছু ব্যক্তিগত অপমান।
ভুলে যেতে চেয়েছি যে কোনভাবে,
যেন ওরা আমার নয়...
যেন ওরা রাস্তার কোন লম্পট পথচারীর।
আমি কিছুতেই বলতে পারিনি সেসব
আমার ফুলেদের কাছে, বৃক্ষ ও পাতাদের কাছে
আমার ব্যক্তিগত দীনতাগুলো
এতই ব্যক্তিগত ছি! …
উড়ান
উড়ে যাওয়ার মত ডানা থাকলে
কোন পাখির শিকড় গজাতো না কোনদিন।
আর যেসব পাখি খোলা বাজার থেকে
স্বল্পমুল্যে ডানা কিনে নিয়েছে,
মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে তারাও একদিন
শেয়ার বাজার কেলেংকারির নামে,
সর্বস্বান্ত করে দিয়ে নিঃস্ব বালক,
সহসাই পাড়ি জমায় নিশীথ সূর্যের দেশে।
আদতে পাখিদের কোন শিকড় হয়না।
যদিও বাস্তু-সংস্থানের সকল ধারনা ভুল প্রমান করে
সকল পাখিই যায় শেকড়ের সন্ধানে...
ব্লক হেড
কোপারনিকাসের সময়েও কিছু আহাম্মক ছিল।
আর্কিমিডিসের সময়েও ছিলো নিশ্চই।
আমারও আছে।
যদিও নিজেকে আমি কোপারনিকাস বা আর্কিমিডিস
বলে দাবী করি না।
বিজ্ঞানে আমার কোন আগ্রহ নাই।
অইসব আমি শুনতেও যাই না:
বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা নিয়া কীসব সেমিনার হয়।
সিম্পোজিয়াম হয়।
নির্বাচন হয় বিএমএ অডিটোরিয়ামে।
প্রেসক্লাবে।
জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশানের সভাপতি পদ নিয়া কাড়াকাড়ি হয়। হাইকোর্টে কুত্তার মত কামড়াকামড়ি হয় বার কাউন্সিল নিয়া।
ভূখা মিছিল হয় জ্যাকসন হাইটসের সামনে।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
আমার শুধু হাসি পায় এইসব নির্বুদ্ধিতা দেইখা।
বিকট হাসি পায়।
আমি পেট চাইপা হাসতে থাকি।
হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি খাইতে থাকি।
হো হো কইরা হাসতে থাকি।
উচ্চকন্ঠে হাসি দেয়া ছাড়া
ইদানিং আমি আর তেমন কিছুই পারি না!
প্রস্থান
আমি চলে যেতে পারি আজও।
আমি চলে যেতে পারি কালও।
আমি চলে যেতে পারি যে কোনদিন।
ভীষণ ব্যক্তিগতভাবে আমি চলে যেতে পারি।
যেভাবে অগোচরে চলে যায় একটি ফুল,
কিংবা একটি পাখির মৃত্যু হয়।
রোদের অবহেলায় একটি স্বর্নলতা পাতা ঝরে যায়।
অকালে জন্ম নেয়া কোকিল,
খড়কুটো-বাসা ভেঙে উড়ে গেছে যে চড়ুই,
উঠোনের সবুজ ঘাস কখন হলুদ হয়েছে।
কে কবে খবর রেখেছে তার।
আমি চলে যেতে পারি সেভাবে।
তুমুল গোপনে।
যে কোনদিন...
কবিতা
রাজকুমার
দূরত্ব
ঘুড়িটির মাঞ্জা জুড়ে ক্ষয়
ঘুড়িটির সুতো কেঁটে গেছে
ধসে যাচ্ছে একাকী নাটাই
ঘুড়িটি আর উড়ছে না।
ছায়াবৃত্তান্ত
একটা হাইব্রিড ভোর পাঠিয়ে দিয়েছেন বৈজ্ঞানিক পরমেশ্বর
এখন ইচ্ছেমত দরজার ওপাশ থেকে নামাতে পারি
সকাল, দুপুর, বিকাল এমনকি লাল টুকটুকে সন্ধ্যাও
সূর্যকে আর দেবতা বলে প্রণাম করতে হয় না।
একটা হাইব্রিড কাগুজে প্লেন উড়িয়ে দিয়েছেন প্রযুক্তিবিদ ঈশ্বর
এখন অনায়াসে পানির উপর কতৃত্ব ফলাতে পারি কুমিরের মত
আকাশে খরগোশ জীবন থ্যাবরানো চ্যাবরানো লৌহ ঈগল
এমনকি ডাঙায় অগ্নি গোলক ওগরাতে ওগরাতে পায়চারি রত মস্ত ডাইনোসরও।
কিছু হাইব্রিড তুলি পাঠিয়ে দিয়েছেন শৈল্পিক পরমেশ্বর
এখন ইচ্ছেমত আকতে পারি বন্ধুর বয়সী মেঘ,
বান্ধবীর বয়সী লজ্জায় লাল হওয়া সাবালিকা রোদ
এমনকি দাদীর বয়সী বুড়ো শ্যাওড়া গাছের ঘুটঘুটে ছায়াও।
শুধু আঁকতে পারিনি আজও নিজের ছায়া
ছায়ার কি নিজস্ব কোন ছায়া থাকে?
আরব বসন্ত
অঙ্কটি সহজ ছিল না............
তবু পাখিরা নাছোড়
পাখিদের ছোট্ট দুটি ডানা
বঞ্চনার ক্ষতে জরজর।
মৃদু চাঁদ টপকে দিয়ে উঁকি দেয় কালো কালো রাত,
তবু জ্যোৎস্নার পিদিম জ্বেলে
ঘুমহীন, রাতজাগা প্রজাপতির মিছিল
কানপাতি, শুনি, বসন্ত আছড়ে পড়ার স্বর।
গ্রুপ স্টাডি
- রাজকুমার
গ্রুপস্টাডি
প্রথমে বর্ণ পরিচয়
অতঃপর শব্দ পরিচয়
অমনি অসতর্ক শব্দ গুলো উড়তে লাগল
সাদা-কালো মেঘদের ছুয়ে ছুয়ে
সিমফুল ঠোট গুজে নেমে এল নতুন বউয়ের মত রোদ।
আমরা গন্ধ শিখলাম;
নিকষ কালো রাত্রির টাটকা গন্ধ
মিটিমিটি জ্বলা জোনাকি পোকার গন্ধ
জোৎস্ন্যা রঙে খসে পড়া বাঁকা চাঁদের শরীরী গন্ধ
এমনকি উদাসীন, চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা ছাইরঙা নদীটির গন্ধ ।
আমরা গন্ধ শিখলাম;
ঘোর হয়ে ওঠা ঘামে ভেজা খোলা গরলের গন্ধ।
আমরা পাপী হলাম
অবিরাম বিষের পুকুরে ডুবে যেতে যেতে..................
আমরা শিখলাম, পৃথিবীর শিরায় শিরায় কত বিচ্চ্ছিরি ধূলো।
প্রায়শঃ আমি
পারিবারিক চায়ের কাপ থেকে মিশকালো ধোঁয়া উড়ছে।
আমি কি আমার ঘুমের জড়তা গুটিয়ে নেব?
আমি কি আর ঘুমাব না?
যেহেতু আমি শেষ রাত্রে দুঃস্বপ্ন দেখি
সাদা অ্যাম্বুলেন্সের নখরওয়ালা হুইসেলের মতন।
প্রায়শঃ
নিজের ছায়াকে আবিষ্কার করি উচ্চাঙ্গ সংগীত উৎসবে
হতবিহবল -
কারন, আমি রাগ বুঝি না;
একটা কালো, কুচকুচে কোকিলের মতন।
বিশ্বাস করুন, আপনিই একটি কবিতা
মনে করুন, আপনি একটি কাশফুল
আপনার শরীর, সাদা সাদা পালক নামক প্রেমিক তুবড়িতে ভরপুর
আপনার চোখে নূতন বউয়ের মতন রোদ
মনভোলা কুটুম পাখির ঢঙে আপনার শিস।
হাওয়াদের দুষ্টুমির ঢেউ আপনাকে নাড়িয়ে যায়
সূর্যের নির্লজ্জ্ব আলোক-দলা আপনাকে চুমু খায় প্রকাশ্যেই!
আপনাকে একপলক দেখার জন্য উঁকি দেয়ঃ
সারি সারি রপ্তানিযোগ্য ইলিশের চোখ;
তাদের পিছু পিছু সওদাগির বোয়াল মাছ;
মুখ হা করা কালো কুমির;
অদ্ভুত বিশ্রী বেঢপ গোসাপ;
এমনকি দেবতা তুল্য চালাক ডলফিনও।
মনেকরুন, আপনি একটি কাশফুল
আপনার শরীর, পাকা শীতের ভোরের মতন
নাড়ার আগুনের রেখায় ভরপুর।
নাম না শোনা প্রেমিকা আপনাকে হাতের আঙুলে পেচিয়ে রাখে
মিহি করে আদর ছোয়া দেয় স্কুল পড়ুয়া নূতন মেয়ে।
নিকোটিন পড়ায় পাড়ায় আপনি বিক্রি হন স্বস্তির সাথে
চাকুর বসার ঘরে আরামে বসেন -
ফুসফুস ভর্তি করেন অজস্র ফড়িঙের রক্তের জলীয় বাষ্পে। আপনি - হ্যা, আপনিই ঘাসদের ঘোলাটে চোখে শব্দের বাখান খোজেন
বিশ্বাস করুন, আপনার দাম (কেজি প্রতি)মাত্র দশ টাকা।
মনে করুন, আপনি একটি কাশফুল
বিশ্বাস করুন, আপনিই একটি কবিতা।
প্রেমিকাকে
নৌকোডুবির শতভাগ সম্ভাবনা সত্ত্বেও
আশৈশব আমি নৌকো চড়তে ভালোবাসতাম
এবং নৌকো আমায় ডুবোয়নি কখনও;
আমি একটা ঘাসফুলকেও ভালোবাসতাম খুব
বিশ্বাসী ছিলাম এই আপেক্ষিক মহাবিশ্বে
শেষপযর্ন্ত ঘাসের যৌবনই একমাত্র অবানিজ্যিক
অথচ ঘাসফুলই সাঁতার কাটল সওদাগরি নৌকোর গলুইয়ে;
এখন আমি রাত জেগে জেগে তারাদের কম্পন শুকি
জোনাকির আসর ছাড়া আর কোথায় ঠাই আছে বল
আমিতো সেই কবেই নিশাচর হয়ে গেছি
সূর্যদের মুখ দেখতে মানা।
সাপ খেলা
সাপখেলা খেলতে খেলতে ক্লান্ত
আমি এক নির্বিষ সাপ,
ক্রমাগত নিজেকে লুকোতে চাই ছায়াদের আবডালে
অথচ ছায়ারাই আমাকে হাঁটে তোলে ঘটা করে
লম্বাশ্বাস নিয়ে ধারালো বীণ বাজায়
আমি বিষন্ন ফণা তুলে নাচি।
পুজির বাজারে এছাড়া কী-বা করার আছে।
ভাঙা বিস্কুট
উৎসর্গঃ হুমায়রা আক্তার পুনমকে
স্বাপ্নিক ফ্লাইওভার থেকে যে গাড়িটি রোজ আকাশে উঠত
গাড়ি নয় এক কৌটো ফুলের শরীর
যার দুটো মার্বেল চোখে ঠাসাঠাসা স্বপ্ন ছিল;
যা কখনো ঝরে পড়ত চকমকে রুপার ফুলের মত
হয়ত সকালের সূর্য হয়ে আলো্ও দিত বেশ।
সেই ছোট্ট ফুলটি এখন এক সুটকেস আতঙ্কের স্তুপ
লাল ঠোট লেপ্টে গেছে সওদাগরি পোকার কামড়ে
ফুলটি আজ বড়ই নিষ্প্রভ অনেকটা ভাঙা বিস্কুটের মত;
হতোদ্যম সেলস বালিকাও পাথর চিন্তিত
ভাঙা বিস্কুট কি বাজারে চলে?
পৃথিবী
ক্রমশ মিষ্টি হয়ে উঠছে কফিন!
বাজারজাত করন চলছে ধুমধাম অন্তেষ্ট্যিক্রিয়া
শিশির পতনের সুর
ব্যাঙের প্রেম আরাধনা
এমনকি সাদা ভাতের মতন সুশ্রী, সিমসাম সেই মেয়েটি
যার দুটো চোখ আজ সিঁদুরে মেঘের মত লাল।
গোলাপী হয়ে উঠছে পৃথিবী
প্রক্রিয়াজাত হচ্ছে লাজুক লাজুক আমাদের প্রথম চুমুও
খোকার খিলখিল হাসি
ছোট বাবুর ট্যা ট্যা কান্না
কিংবা কিশোরী মেঘ যে আজও উড়তে শিখেনি
তার বাম স্তনের দু আঙুল নিচে অবিরত ঢিব ঢিব...
তাড়া খাওয়া হরিণের ক্ষুর।
ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী!
ছায়া রুপে আগাচ্ছে মানুষ?
অনুকবিতা ষষ্ঠক:
- মৌ দাশগুপ্তা, বেলপাহাড়, ওড়িশা
(১) পরকীয়া
অলিতে ফুলেতে, পরাগে ভ্রমরে, খেলছে প্রেমের খেলা,
নদীতে জলেতে, আকাশে আলোতে, আদিম খুশীর মেলা,
মোমবাতি ভোর, আলোছায়া দিন, ঘুমঘুম চোখ দ্বীপ,
আদম ভেসেছে পরকীয়া প্রেমে, নিজেতে মগ্ন ঈভ।
(২) পোড়া এ মন
উছলে ওঠে মন খারাপের হাওয়া,
সাঁঝের বেলায় ধুলো মাখা অঞ্চলে,
সময় এঁকেছে উদাসীন আঁকিবুঁকি
পোড়া মন ডোবে ভালোবাসা নদী জলে।
(৩) সীমান্তে প্রজাপতি
প্রজাপতি অবাধ গতি হাওয়ায় হাওয়ায় ওড়ে
দেশ ভাগের কাঁটাতারে যায় কি বাঁধা তারে?
এ দেশ ও দেশ স্বদেশ বিদেশ তুচ্ছ প্রজাপতি
কে রুখবে হাওয়ায় ভাসা স্বাধীন ডানার গতি?
(৪) জীবন মহীরুহ
শেষ বলে কিছু নেই সময় যাযাবর,
অন্তহীন যাত্রাপথে নেই কোন অবসর।
জীবন মহীরুহ সহে জীবন শোক তাপ,
ভ্রান্ত মনের বনসাই তোলে অপেক্ষায় অবসাদ।
(৫) রাই
মর ঘন মেঘ রুধেছি দিয়েছি ক্রোধের বাঁধ,
তৃষ্ণার্ত ঠোঁটে তবু লবন জলের স্বাদ।
আঁধারে বহতি অশ্রু যমুনা একাকিনী আমি রাই,
লোকলজ্জা সমাজ ভীতিতে ইচ্ছেরা বনসাই।
(৬) আমার গল্প
দুঃখটাকে লুকিয়ে নিলাম আজকে মেঘের ভাঁজে,
ইচ্ছের নীল আকাশ থেকে আনবো পেড়ে সাঁঝে।
সুখ সোহাগের পরাগ রেণু হাওয়ায় এল উড়ে,
গল্প আমার মিশিয়ে দিলাম রূপকথাদের ভিড়ে।
নিঃসঙ্গতার প্রতিচ্ছবি
- সবুজ, মিরপুর, বাংলাদেশ
রোড লাইটের নিয়ন আলোয়
আমাকে অচেনা মনে হয় ,
হাজারো মানুষের ভিড়ে
আমি নিজেকে খুজি ।
গাড়ি গুলো যখন ছুটে চলে
বিরতিহীন... দিকের পানে,
শান্ত আমি দেখি তাদের
অজানায় ফিকে হয়ে যাওয়া ।
যান্ত্রিক জীবনে আমি
অভাবে তাড়িত হই,
প্রকৃতির...
বাবা, মা, শৈশবের প্রেমের।
এক মুহূর্তে চোখ ঝাপসা হয়
ছলছল চোখে সান্তনা খুঁজি আমি
উদার আকাশের কাছে।
একটি মেয়ে
- জ্ঞানেন্দ্র প্রসাদ সরকার, কলকাতা
ট্রেনে উঠেই দরজার ঠিক বাঁপাশে -
একটি মেয়ে, কোলে একটা ছোট্ট বাচ্ছা।
আমি দাঁড়িয়ে অন্যপাশে –
ভিড় কম ।
শিশুটির বয়স হয়তো সাতমাস কি একটু বেশি।
একটা ময়লা সবুজ জামা, উলঙ্গ –
কোমরে একাধিক মাদুলি, তাবিজ।
মেয়েটির পরনেও একটা ময়লা শাড়ি, বসে।
নাবালিকা অনুমানে আশ্চর্য হব না।
আমাদের মত ভদ্রজাতি নয়!
শিশুটি লাফালাফি করছে, হয়তো খিদেয়।
দেখি মেয়েটি স্তন্যপান করায় –
স্তম্ভিত –
নিশ্চয় ইচ্ছামাতৃত্ব নয়,
তবুও তো এখন সন্তান শুধুই তার।
হাজার দুঃখ কষ্ট,
সমাজের সাথে লড়াই –
শিশুটিকে মানুষ করার দায়িত্ব -
শুধুই তার।
তার জন্য কোনো আন্না হাজারে নেই,
কোনো আলোচনা হবে না বিধানসভায়।
তবুও এই মেয়েটি কবিতার বিষয়,
ক্যামেরায় অথবা রং তুলির ছবি।
এগজিবিসনে পুরস্কার,
আবার হয়তো মোটা দাম।
তৈরি হবে সিনেমা – অস্কার নিশ্চিত।
তবুও এই মেয়েটিকে আবার দেখব –
একই ভাবে –
অন্য কোনদিন, অন্য কোনখানে।
কিছুপরে নেমে যায় মেয়েটি,
আমি আর একটু পর।
আবার ব্যস্ততা –
নিজের কাছে কিছু প্রশ্নের উত্তর বাকীই রয়ে গেল,
পাই নি।
নিঃসঙ্গতার প্রতিচ্ছবি
- সবুজ, মিরপুর, বাংলাদেশ
রোড লাইটের নিয়ন আলোয়
আমাকে অচেনা মনে হয় ,
হাজারো মানুষের ভিড়ে
আমি নিজেকে খুজি ।
গাড়ি গুলো যখন ছুটে চলে
বিরতিহীন... দিকের পানে,
শান্ত আমি দেখি তাদের
অজানায় ফিকে হয়ে যাওয়া ।
যান্ত্রিক জীবনে আমি
অভাবে তাড়িত হই,
প্রকৃতির...
বাবা, মা, শৈশবের প্রেমের।
এক মুহূর্তে চোখ ঝাপসা হয়
ছলছল চোখে সান্তনা খুঁজি আমি
উদার আকাশের কাছে।